স্টেশন চত্বরকে আধুনিক করে তুলতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্টেশন চত্বরেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামীদামী দোকান, হোটেল, রেস্তরাঁ, লাউঞ্জ। এবার স্টেশন চত্বরে ওষুধের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিল রেল। পিএম জনঔষধি প্রকল্পের (Pradhan Mantri Bhartiya Janaushadhi Kendras) আওতায় এই মেডিক্যাল শপগুলি খোলা হবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, গোটা দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে ১০০টি পিএম জনঔষধি কেন্দ্র খোলা হবে।
স্টেশনে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্যে কথা ভেবে ভারতীয় রেলওয়ে ২০২৩ সালে অগস্টে পিএম জনঔষধি কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো বিশেষ পলিসি ফ্রেমওয়ার্কও তৈরি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রকল্পের জন্য মোট ৫০টি স্টেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে এই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। রেলের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ১২.৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত ৬১টি জনঔষধি কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন কোটি কোটি যাত্রী রেলে যাতায়াত করেন। ভারতীয় রেলওয়ে সস্তায় সকলের কাছে উন্নতমানের ওষুধ এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে চাইছে। সেই কারণেই স্টেশনে স্টেশনে জনঔষধি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। রেলের এক আধিকারিকের কথায়, এর ফলে শুধু যে যাত্রীরা ওষুধ পাবেন, তাই-ই নয়, একইসঙ্গে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরাও পিএম জনঔষধি কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
এই প্রকল্পেও আওতায় রেলওয়ের তরফেই জায়গা দেওয়া হবে। সেখানেই পিএম জনঔষধি কেন্দ্র খোলা যাবে। স্টেশনে আসা-যাওয়ার পথে যাত্রীরা যে পথ ব্যবহার করেন, তার আশপাশেই আউটলেট খোলা হবে। যাতে যাতায়াতের পথে যাত্রীরা ওষুধ কিনতে পারেন। এই স্টলগুলি সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে বিভাগ ই-অকশনের মাধ্যমে বিতরণ করবে। ব্যবসায়ীদের ওষুধের দোকান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
একই সঙ্গে ওষুধ সংরক্ষণের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোনও ওষুধ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে তাঁদের নজর রাখতে হবে। ফার্মাসিস্ট থেকে শুরু করে ওষুধের দোকানের অন্যান্য কর্মীও নিয়োগ করতে হবে ব্যবসায়ীদের। আউটলেট খোলার আগে নির্বাচিত ব্যবসায়ীদের ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া (পিএমবিআই) এবং জনৌষধি স্কিমের জন্য এর অনুমোদিত বিতরণকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তিও করতে হবে।