ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) যাত্রী পরিষেবায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার রেল টিকিট বুকিংয়ের সময় ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ যাত্রী এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলারা লোয়ার বার্থ নির্বাচন না করলেও সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁদের লোয়ার বার্থ আসন বরাদ্দ করবে, যদি সিট খালি থাকে। রাজ্যসভায় এই ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, যিনি নিশ্চিত করেন যে প্রবীণ ও মহিলা যাত্রীদের আরাম ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ।
কোন কোন কোচে কতটি লোয়ার বার্থ সংরক্ষিত?
রেলমন্ত্রী জানান, প্রতিটি কোচে নির্দিষ্টসংখ্যক লোয়ার বার্থ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
স্লিপার ক্লাসে: ৬ থেকে ৭টি
থার্ড এসিতে: ৪ থেকে ৫টি
সেকেন্ড এসিতে: ৩ থেকে ৪টি
এই বরাদ্দের সুবিধা গর্ভবতী মহিলা ও প্রবীণ যাত্রীরাও পাবেন।
প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা:
প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য রেলওয়ে অসাধারণ ব্যবস্থা করেছে। সকল মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে, এমনকি রাজধনী ও শতাব্দীতেও, তাঁদের ও তাঁদের সহযাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে।
স্লিপার ও থার্ড এসিতে— দুটি লোয়ার ও দুটি মিডল বার্থ,
দ্বিতীয় সিটিং বা চেয়ার কারে— চারটি সংরক্ষিত আসন।
যাত্রাপথে কোনো আসন খালি হলে প্রবীণ, প্রতিবন্ধী বা গর্ভবতী মহিলাকে প্রথম সুযোগ দেওয়া হবে—এটাই রেলের নিয়ম।
নতুন কোচে নিরাপত্তা ও আরামের উন্নতি:
নতুন কোচগুলোকে প্রতিবন্ধী-বান্ধবভাবে তৈরি করা হয়েছে।
দরজা প্রশস্ত,
বার্থ বড়,
কম্পার্টমেন্ট বেশি জায়গার,
টয়লেটের দরজা চওড়া,
অতিরিক্ত গ্র্যাব রেল,
চাকার চেয়ার রাখার আলাদা স্থান।
দৃষ্টিহীন যাত্রীদের জন্য ব্রেইল সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আমৃত ভারত ও বন্দে ভারত ট্রেন শুরুর থেকেই প্রতিবন্ধীদের সুবিধা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়।
রেল যাত্রা এখন আরও নিরাপদ: দুর্ঘটনা ৯০% কম:
রেলমন্ত্রী জানান, ভারতের রেলে দুর্ঘটনা ৯০% কমেছে। দেশীয় প্রযুক্তি “কবচ” ব্যবস্থার মাধ্যমে বিপদের সম্ভাবনা থাকলে ট্রেন নিজে থেকেই থেমে যায়। আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত লাইন ব্যবস্থাপনা ও সিগনাল সিস্টেমের ফলে সংঘর্ষ, লাইনচ্যুতি ও সিগন্যাল ব্যর্থতার ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কম।
