ভারতীয় বাজারে বড় পতন, TCS ও ভারতী এয়ারটেল সহ শীর্ষ ১০ কোম্পানির ক্ষতি

গত সপ্তাহে ভারতের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৮টির মোট বাজার মূলধন ১.৬৫ লাখ কোটি টাকা কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে টাটা কনসালটেন্সি…

indian-market-decline-tcs-bharti-airtel-top-10-companies-loss

গত সপ্তাহে ভারতের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৮টির মোট বাজার মূলধন ১.৬৫ লাখ কোটি টাকা কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS)-এর। বাজারের এই মন্দ প্রবণতায় অন্যান্য কোম্পানির বাজার মূলধনও কমে গেছে।

BSE বেঞ্চমার্ক গত সপ্তাহে ৬২৮.১৫ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ কমে গিয়েছে, যখন নিফটি ১৩৩.৩৫ পয়েন্ট বা ০.৫৮ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। এই পতনের কারণে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৮টির বাজার মূলধন কমে ১,৬৫,৭৮৪.৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে TCS সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। TCS-এর বাজার মূলধন ৫৩,১৮৫.৮৯ কোটি টাকা কমে গিয়ে ১৩,৬৯,৭১৭.৪৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

   

ভারতী এয়ারটেলের বাজার মূলধনও কমেছে ৪৪,৪০৭.৭৭ কোটি টাকা, যা এখন দাঁড়িয়ে ৯,৩৪,২২৩.৭৭ কোটি টাকা। একইভাবে ICICI ব্যাংকের বাজার মূলধন ১৮,২৩৫.৪৫ কোটি টাকা কমে গিয়ে ৮,৭০,৫৭৯.৬৮ কোটি টাকা হয়েছে এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের বাজার মূলধন ১৭,৯৬২.৬২ কোটি টাকা কমে ৫,২৬,৬৮৪.৩৮ কোটি টাকা হয়েছে।

ইনফোসিসের বাজার মূলধন ১৭,০৮৬.৬১ কোটি টাকা কমে ৭,৫৩,৭০০.১৫ কোটি টাকা হয়েছে, যখন ITC-এর বাজার মূলধন কমে ১১,৯৪৯.৪২ কোটি টাকা হয়ে ৫,০১,৭৫০.৪৩ কোটি টাকা হয়েছে। HDFC ব্যাংকের বাজার মূলধনও ২,৫৫৫.৫৩ কোটি টাকা কমে ১২,৯৪,১৫২.৮২ কোটি টাকা হয়েছে এবং স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) বাজার মূলধন ৪০১.৬১ কোটি টাকা কমে ৬,৪৩,৯৫৫.৯৬ কোটি টাকা হয়েছে।

তবে, এই কঠিন বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন ১৪,৫৪৭.৩০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬,৬১,৩৬৯.৪২ কোটি টাকা হয়েছে। বাজাজ ফিনান্সের বাজার মূলধনও ৩৮৪.৩৩ কোটি টাকা বেড়ে ৫,২০,৪৬৬.৭৫ কোটি টাকা হয়েছে।

বর্তমানে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখনও দেশের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে অবস্থান করছে, যার পরে রয়েছে TCS, HDFC ব্যাংক, ভারতী এয়ারটেল, ICICI ব্যাংক, ইনফোসিস, SBI, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, বাজাজ ফিনান্স, এবং ITC।

এই পতন এবং উত্থানের প্রবণতাগুলি বিনিয়োগকারীদের জন্য সংকেত হতে পারে যে, বাজারে কোনও বড় পরিবর্তন ঘটছে এবং তাদের বিনিয়োগ কৌশল পর্যালোচনা করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মন্দাভাব পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণ হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে।

এছাড়া, বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কৌশল নিয়ে আরও সতর্ক হবে এবং তাদের কর্মক্ষমতা এবং স্ট্র্যাটেজি পর্যালোচনা করবে। যেহেতু বাজারের মূল্যমানের ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে, তাই এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন চলতে পারে, তবে এটি ভবিষ্যতের বিনিয়োগের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শেষ পর্যন্ত, যদি বাজারে অবস্থা আরও খারাপ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক হতে হবে এবং বাজারের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হতে পারে।