২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপক (India Trade Deficit) বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসে রফতানি এবং আমদানির মধ্যে পার্থক্য ভারতীয় অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রফতানি হ্রাসের পরিসংখ্যান
নভেম্বর মাসে ভারতের পণ্য রফতানি দাঁড়িয়েছে $৩২.১১ বিলিয়ন, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একাধিক আন্তর্জাতিক কারণ, যেমন বৈশ্বিক চাহিদার হ্রাস, জ্বালানির দামের অস্থিরতা, এবং প্রধান বাজারগুলিতে মন্দার আশঙ্কা, রফতানির নিম্নমুখী প্রবণতার জন্য দায়ী।
আমদানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি
অন্যদিকে, আমদানি পৌঁছেছে $৬৯.৯৫ বিলিয়নে। আমদানি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত তেলের উচ্চ মূল্য, শিল্প কাঁচামালের চাহিদা, এবং ভোক্তাপণ্যের আমদানি। আমদানির এই উর্ধ্বগতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের উপরও চাপ সৃষ্টি করছে।
বাণিজ্য ঘাটতির বিপুল বৃদ্ধি
এই মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি পৌঁছেছে $৩৭.৮৪ বিলিয়নে, যা অর্থনীতিবিদদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘাটতি রুপি-মূল্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং দেশের মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রফতানি বাড়ানোর জন্য ভারতের উচিত নতুন বাজার খুঁজে বের করা এবং রফতানিজাত পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে উদ্যোগ নেওয়া। একইসঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য স্বনির্ভর ভারত প্রকল্পকে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
ভারত সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তদুপরি, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং স্বল্পকালীন আমদানি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি গুরুতর সংকেত। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বাণিজ্য ঘাটতির এই প্রবণতা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবিত করতে পারে।