India Export: উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ল ভারতের রফতানি

ভারতের অর্থনীতির জন্য সুখবর। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে ভারতের সামগ্রিক রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে (India Export) ৬৯.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছর আগস্ট ২০২৩-এ…

India Export growth

ভারতের অর্থনীতির জন্য সুখবর। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে ভারতের সামগ্রিক রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে (India Export) ৬৯.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছর আগস্ট ২০২৩-এ ছিল রফতানির পরিমান ছিল ৬৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিসংখ্যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।

একই সঙ্গে, আগস্ট ২০২৫-এ ভারতের সামগ্রিক আমদানি কমে ৭৯.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগস্ট ২০২৪-এ আমদানি ছিল ৮৪.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি বৃদ্ধি এবং আমদানি হ্রাসের ফলে ভারতের সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি আগস্ট ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ৯.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

   

গত বছর আগস্টে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২১.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিসংখ্যান ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।এই বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ভারতের পণ্য রফতানি খাতে ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং টেক্সটাইল শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক্স এবং ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ভারতের রফতানি গত কয়েক বছরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বিশ্ব বাজারে ভারতের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। এছাড়াও, পরিষেবা খাতে তথ্য প্রযুক্তি (IT), সফটওয়্যার পরিষেবা এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া আউটসোর্সিং (BPO) এর মতো ক্ষেত্রগুলো ভারতের রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।অন্যদিকে, আমদানি হ্রাসের কারণ হিসেবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের স্থিতিশীলতা এবং স্থানীয় উৎপাদন ক্ষমতার উন্নতিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভারত সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগ এবং প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্পের মতো নীতিগুলো স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করেছে।

যার ফলে আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল উপাদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি আমদানি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও, স্বর্ণ এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর আমদানি কমে যাওয়াও এই হ্রাসের একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাওয়া ভারতের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।

Advertisements

গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৪% ঘাটতি হ্রাস ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাবে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য আরও উন্নত হবে। তবে, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভবিষ্যতে রফতানি ও আমদানির এই ধারা প্রভাবিত হতে পারে বলে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

সামাজিক মাধ্যমে এই খবর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে ভারতের রফতানি বৃদ্ধি এবং আমদানি হ্রাসকে সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সাফল্য হিসেবে দেখছেন। একজন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভারতের রফতানি বাড়ছে, আমদানি কমছে এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য গর্বের বিষয়।

পৃথিবীর ওই সীমানা, যা অতিক্রম করে ‘মহাকাশের জগৎ’ শুরু হয়

আত্মনির্ভর ভারতের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।” তবে, কিছু সমালোচক মনে করছেন, বিশ্ববাজারে চাহিদার অস্থিরতা এবং জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামা ভবিষ্যতে এই প্রবৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রফতানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বাণিজ্য চুক্তির সম্প্রসারণ এবং নতুন বাজারে প্রবেশের উদ্যোগ।