রাশিয়ার Urals প্রান্তিক তেল এখন ব্রেন্ট দামের তুলনায় প্রতি ব্যারেল ৩–৪ ছাড়ে ভারতকে সরবরাহ করা হচ্ছে, যা জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১ ছাড় (Tariff) এবং কয়েক সপ্তাহ আগেও ছিল ২.৫০ থেকে একটু কম । এই বড় ছাড় ভারতীয় রিফাইনারদের জন্য এক স্বর্ণদরজা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূলত, এই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে ভারতীয় পণ্যে ২৫% “reciprocal” শুল্ক আরোপ করেন। এরপর, রাশিয়ান তেল আমদানির জন্য অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক চাপিয়ে মোট শুল্কের(Tariff) পরিমাণ ৫০% করে দেন—যা ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি বিপত্তি তৈরির খবর হয় ।
তবুও, এই শুল্কের (Tariff) মুখেও ভারত থেমে থাকেনি। Indian refiners, যেমন—কয়লা ও বেসরকারি সংস্থাগুলো—গোটা আগস্টে ২৭ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর ১ তারিখ পর্যন্ত ১১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল কিনে নেয় । Kpler-এর তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ভারত রাশিয়ান তেলের ক্রয় বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে আগের মাসের তুলনায় ১০–২০%, যা প্রতিদিন ১.৫ থেকে ৩ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি মানে ।
কেন রাশিয়ার দিকে ঝুকে ভারত?
ভারতীয় তেল আমদানির লক্ষ্য হলো জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ব্যয় সাশ্রয়, যা দেশের জন্য “নজির” প্রয়োজনীয়তা । স্মরণে আড্ডা আছে, ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ান তেলের অংশ ভারতীয় আমদানি ভাণ্ডারে নিম্ন থেকে আজ প্রায় ৩৫–৪০% পৌঁছে গিয়েছে । Analyses অনুযায়ী, এই বিকল্প উৎস ভোক্তা এবং রাষ্ট্র উভয়ের জন্য সাশ্রয় বয়ে এনেছে—এখন পর্যন্ত $১৭ বিলিয়ন বা তার বেশি সাশ্রয়ের হিসেব রয়েছে ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিক দিয়ে চাপ ফেলার কৌশল
White House trade adviser Peter Navarro বলছেন, “India’s tariffs can drop if it stops buying Russian oil”—অর্থাৎ, রাশিয়ান তেল বন্ধ করলে শুল্ক হ্রাস পেতে পারে । অন্যদিকে, তিনি মোদির রুশ তেল সম্পর্ক “Modi’s war” আখ্যা দিয়েছেন, এবং ভারতকে Kremlin’s “laundromat” বলেও চিহ্নিত করেছেন ।
Trump প্রশাসনের অন্য দৃষ্টিভঙ্গিটি হলো: ভারতীয় রিফাইনাররা রাশিয়ান তেল আমদানি করে সেটি পরিশোধনের পর রপ্তানির মাধ্যমে অধিক মুনাফা করছে— যা ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় তাদের জন্য রাজস্ব উৎস হিসাবে কাজ করছে ।
ভারতের শক্ত অবস্থান ও কূটনৈতিক বায়ুমণ্ডল
ভারত সরকার এবং PM মোদি এই সমস্ত অভিযোগকে অযৌক্তিক ও দুই-মুখী আখ্যা দিয়েছেন। PM মোদি ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং দেশ ও বৈশ্বিক মূল্য স্থিতিশীলতা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন । Additionally, MEA ও তেল মন্ত্রক এগুলি ভারতের সার্বভৌম শক্তি তৈরির ব্যাপার হিসেবেই দেখেন—যে সিদ্ধান্তগুলি আন্তর্জাতিক বা প্রতিদ্বন্দ্বী চাপ থেকে প্রভাবিত নয় ।
Shanghai Cooperation Organisation (SCO) সম্মেলনে ভারতে সম্পর্কে “বিশেষ” সম্পর্ক বলেছেন মোদি, যা ভারত–রাশিয়া–চীন সম্পর্কের —যেখানে ভারত তৃতীয়-মাল্টাফায়ন কৌশল বজায় রাখতে চায়— প্রতিফলন ।
ভারতের এই বিশাল রুশ তেল বিপণন কার্যক্রম কেবল একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নয়— এটা রাষ্ট্রীয় কৌশল, যা জ্বালানি সাশ্রয়, সরকারি রাজস্ব, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক কৌশল ভারতের বৈদেশিক নীতি ও কৌশলগত অটonomy-তে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ এনেছে। তার পরেও, ভারত বাজার ভিত্তিক অর্থনৈতিক যুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী চলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। রুশ তলের ডিসকাউন্ট, শুল্ক চাপ, এবং বৈশ্বিক কূটনৈতিক ভূ-রাজনীতি—এই তিন পরামিতাই ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কেন্দ্রে রয়েছে।