বন্ধু কালাচান…ট্রাম্প বিরোধী মঞ্চে জিনপিং-মোদী-কিম-পুতিন

India China Russia North Korea summit

 চার পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত, চিন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া একই মঞ্চে। মার্কিন চাপের মুখে এক হচ্ছে এশিয়া ইউরোপের পরমাণু শক্তিধররা।আগামী সপ্তাহে চিনের থিয়েনচিনে আয়োজিত নিরাপত্তা সম্মেলনে একই মঞ্চে উঠবেন শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন আর নরেন্দ্র মোদী।

Advertisements

কমিউনিস্ট চিন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক নৈকট্য আরো বেড়েছে। আর প্রাক্তন কমিউনিস্ট সোভিয়েত জমানার পুতিন যিনি এখন রুশ প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে মোদীর সুসম্পর্ক আছেই।

এক মঞ্চে মোদী, পুতিন, জিনপিং ও কিম জং উন

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক মঞ্চে ছিলেন। এবার চিনের মঞ্চে বাড়তি মুখ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে হাতিয়ার করে বিশ্ব বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের মধ্যেই শক্তি জানান দিতে এক হচ্ছেন তারা বলে বিশ্লেষনে বলা হচ্ছে।

Advertisements

আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলন India China Russia North Korea summit

 
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চিনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী থিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলন। ওই সম্মেলন উপলক্ষে এক মঞ্চে থাকবে চার পরমাণু শক্তিধর দেশ।

এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন। এতে রাশিয়া, ভারত ও চীনের পাশাপাশি মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও ২০টির বেশি দেশের নেতারা অংশ নেবেন।

ট্রাম্প নীতির এককাট্টা বিরোধিতা 

রয়টার্স জানিয়েছে, শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্প নীতির বিরোধিতা থেকে এক মঞ্চে জিনপিং কিম,, পুতিন ও মোদীর এই উপস্থিতি দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর অর্থনীতি, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে শক্তিশালী সংহতির দৃষ্টান্ত।
 
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রায় সাত বছর পর চিন সফরে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ নেওয়ায় এ সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ ধরা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, জিনপিং-মোদীর বৈঠক সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার, বাণিজ্যিক ছাড় এবং ভিসা নীতি সহজীকরণের মতো ঘোষণার পথ তৈরি করতে পারে।