ভারতে স্বর্ণালঙ্কার হলমার্কিংকে (Gold jewellery hallmarking) বাধ্যতামূলক করার পথে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে ৪০ কোটিরও বেশি স্বর্ণালঙ্কার হলমার্কিং হয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৪ লক্ষ স্বর্ণালঙ্কারে হলমার্কিং করা হচ্ছে। এর চতুর্থ ধাপে, ৫ নভেম্বর থেকে অতিরিক্ত ১৮টি জেলায় হলমার্কিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক হলমার্কিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
হলমার্কিংয়ের বিস্তার
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বাধ্যতামূলক হলমার্কিংয়ের ফলে মোট ৩৬১টি জেলা এই প্রক্রিয়ার আওতায় এসেছে। প্রথম ধাপটি চালু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ জুন। সেই সময়ে দেশের ২৫৬টি জেলায় বাধ্যতামূলক হলমার্কিং আরম্ভ হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩২টি জেলা এবং তৃতীয় ধাপে ৫৫টি নতুন জেলাকে যুক্ত করা হয়।
হলমার্কিংয়ের প্রভাব ও গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা
সরকারের মতে, বাধ্যতামূলক হলমার্কিংয়ের ফলে নথিভুক্ত জুয়েলার্সের সংখ্যা প্রায় ৩৪,৬৪৭ থেকে ১,৯৪,০৩৯ এ পৌঁছেছে, যা প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি। এ ছাড়াও, আসয়িং ও হলমার্কিং সেন্টারের (এএইচসি) সংখ্যা ৯৪৫ থেকে বেড়ে ১,৬২২ হয়েছে। হলমার্কিংয়ে প্রতিটি স্বর্ণালঙ্কারে দেওয়া হচ্ছে ইউনিক HUID (হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন) নম্বর, যা গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বিআইএস-এর সরকারি অ্যাপ্লিকেশন (BIS Care App) এর মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকরা HUID নম্বর দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারের হলমার্কিংয়ের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করতে পারেন। HUID নম্বর প্রবেশ করিয়ে গ্রাহকরা জুয়েলার্সের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, এএইচসি সেন্টারের নাম, প্রকার (যেমন আংটি, নেকলেস, কয়েন, ইত্যাদি), হলমার্কিংয়ের তারিখ এবং স্বর্ণের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পারেন। এছাড়া, এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা পণ্যের গুণমান সম্পর্কে অভিযোগও জানাতে পারেন।
সরকারের বক্তব্য
ভারতের সরকারের একটি পদক্ষেপের ফলে প্রতিদিন ৪ লক্ষ স্বর্ণালঙ্কার HUID নম্বরসহ হলমার্কিং হচ্ছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।