ইনকাম ট্যাক্স পোর্টাল থেকে ITR ভেরিফাই করবেন কীভাবে? জানুন সহজ পদ্ধতি

আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সেটি যাচাই বা ভেরিফাই করা। অনেকেই এই ধাপটিকে উপেক্ষা করেন বা ভুলে যান,…

6-major-income-tax-changes-from-april-1-2025

আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সেটি যাচাই বা ভেরিফাই করা। অনেকেই এই ধাপটিকে উপেক্ষা করেন বা ভুলে যান, যার ফলে তাঁদের রিটার্নটি বৈধ বলে গণ্য হয় না। তবে এই যাচাই প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন করা যায় ই-ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে, যা সরাসরি আয়কর বিভাগের পোর্টাল থেকে করা যায়।

কেন ই-ভেরিফিকেশন গুরুত্বপূর্ণ?
আইটিআর ফাইল করার পর যদি তা যাচাই না করা হয়, তাহলে ওই রিটার্নটি ইনঅ্যাক্টিভ বা অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। এর অর্থ, আপনি রিটার্ন ফাইল করলেও সেটি কর দফতর গ্রহণ করবে না। তাই সময়সীমার মধ্যে ই-ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত জরুরি।

   

ই-ভেরিফিকেশনের বিভিন্ন উপায়:
নিচের যেকোনো একটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার আয়কর রিটার্ন ভেরিফাই করতে পারেন:
1. ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট (DSC) ব্যবহার করে
2. আধার OTP ব্যবহার করে
3. ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড (EVC) ব্যবহার করে, যা পাওয়া যায়:
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।
এটিএম (অফলাইন পদ্ধতি) ব্যবহার করে।
4. নেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে

ই-ভেরিফাই করার আগে যা যা দরকার:
আপনি অবশ্যই ইনকাম ট্যাক্স ই-ফাইলিং পোর্টালে রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারী হতে হবে।
আপনার রিটার্ন জমা দেওয়ার অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর handy রাখতে হবে।
আপনি নিজে অথবা একজন ট্যাক্স এক্সপার্টের মাধ্যমে রিটার্ন ফাইল করে থাকতে হবে।

Advertisements

ধাপে ধাপে ই-ভেরিফিকেশনের পদ্ধতি:
১. ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট (DSC) দিয়ে
www.incometax.gov.in ওয়েবসাইটে যান।
“e-Verify Return” অপশন ক্লিক করুন।
PAN, অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার, অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর লিখুন।
মোবাইলে পাঠানো OTP দিন।
“e-Verify using DSC” বেছে নিন।
Emsigner ইউটিলিটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন।
আপনার সার্টিফিকেট প্রোভাইডার বেছে নিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
২. আধার OTP (নতুন OTP তৈরি করে)
পোর্টালে “e-Verify Return” অপশনে যান।
প্রয়োজনীয় তথ্য দিন।
মোবাইলে আসা OTP দিন।
“e-Verify using OTP on mobile registered with Aadhaar” বেছে নিন।
চেকবক্সে টিক দিয়ে OTP তৈরি করুন।
OTP দিন এবং যাচাই করুন।
৩. আধার OTP (আপনার কাছে OTP থাকলে)
উপরের মতোই প্রাথমিক ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
এবার “I already have an OTP” অপশন বেছে নিন।
OTP দিন এবং কনটিনিউ করুন।
৪. EVC থাকলে
পোর্টালে গিয়ে আপনার PAN ও অন্যান্য তথ্য দিন।
OTP দিয়ে প্রাথমিক যাচাই করুন।
এবার “I already have an EVC” অপশন বেছে নিন।
EVC দিন ও কনটিনিউ করুন।
৫. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে EVC তৈরি
ই-ফাইলিং পোর্টালে লগইন করুন।
“Through Bank Account” অপশন বেছে নিন।
আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইলে বা ইমেলে পাঠানো EVC দিন ও যাচাই করুন।
৬. ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে EVC তৈরি
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পদ্ধতির মতোই ধাপ।
“Through Demat Account” অপশন বেছে নিন।
পাওয়া EVC ব্যবহার করে যাচাই সম্পন্ন করুন।
৭. নেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে
ই-ফাইলিং পোর্টালে লগইন করুন।
“e-Verify using Net Banking” অপশন বেছে নিন।
আপনার ব্যাঙ্ক নির্বাচন করুন ও নেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে লগইন করুন।
ব্যাংকের ড্যাশবোর্ড থেকে ইনকাম ট্যাক্স পোর্টালের লিংকে ক্লিক করুন।
আপনি রিডাইরেক্ট হয়ে যাচাই সম্পন্ন করতে পারবেন।
৮. ব্যাঙ্ক এটিএম (অফলাইন পদ্ধতি)
আপনার ATM কার্ড নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ATM-এ ব্যবহার করুন (যে ব্যাঙ্ক এই পরিষেবা দেয়)।
PIN দিন।
“Generate EVC for Income Tax Filing” অপশন বেছে নিন।

প্রাপ্ত EVC পোর্টালে গিয়ে “I already have an EVC” অপশন ব্যবহার করে দিন।

ই-ভেরিফিকেশন হল আয়কর রিটার্ন ফাইলিং প্রক্রিয়ার একটি বাধ্যতামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি না করলে আপনার রিটার্ন গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকার বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটিকে সহজ করেছে, আপনি নিজের সুবিধামতো যেকোনো একটি উপায় বেছে নিয়ে এটি সম্পন্ন করতে পারেন।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা না হলে রিটার্ন বাতিল বলে গণ্য হতে পারে, তাই দেরি না করে আজই যাচাই করুন আপনার ITR!