লগ-ইন ডিটেলস ভুলে গেছেন? নেট ব্যাঙ্কিংয়ে সহজেই ফাইল করুন ITR

আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই সময়ে প্রায় সবাই ব্যস্ত তাদের নথি, আয় এবং অন্যান্য হিসাবের কাগজপত্র জোগাড় করতে। তবে…

ITR Filing for Freelancers & Gig Workers: Forms, Deductions, and Required Documents for 2025

আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই সময়ে প্রায় সবাই ব্যস্ত তাদের নথি, আয় এবং অন্যান্য হিসাবের কাগজপত্র জোগাড় করতে। তবে এখনও যারা তাদের ITR ফাইল করেননি, এবং যদি আয়কর পোর্টালের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। পাসওয়ার্ড রিসেট না করেও সহজেই আপনার ITR ফাইল করা সম্ভব, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে।

বর্তমানে ভারতের বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে সরাসরি আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালে লগ-ইন করার সুবিধা দেয়। এটি একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনি খুবই সহজ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড মনে না থাকলেও সময়মতো রিটার্ন জমা করা যায়।

   

কোন ব্যাঙ্কে এই সুবিধা আছে?
আপনার ব্যাঙ্ক এই সুবিধা দেয় কিনা তা যাচাই করতে আপনি আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালের Net Banking অপশনে গিয়ে দেখতে পারেন অথবা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আপনার ব্যাঙ্ক হয় ICICI, তাহলে খুব সহজেই নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে ITR ফাইল করতে পারবেন। প্রথমে ICICI ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ে লগ-ইন করুন। এরপর ‘Payments and Transfers’ অপশনে যান, সেখান থেকে ‘Manage Your Taxes’ নির্বাচন করুন।

এরপর ‘Income Tax e-Filing’ অপশনে ক্লিক করলে সরাসরি আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। এখান থেকে সহজেই আপনার রিটার্ন ফাইল করা যাবে।

এই পদ্ধতিতে ফাইলিং ছাড়াও আরও বিভিন্ন সুবিধা পাবেন, যেমন:
ITR তাড়াতাড়ি ই-ফাইল করা
রিটার্ন আপলোড
ফর্ম 26AS দেখা (Tax Credit Statement)
ট্যাক্স ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা
ITR ডাউনলোড করা
ই-ট্যাক্স পেমেন্ট করা ইত্যাদি।

যদি আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে যান, তাহলে নতুন করে সেট না করেই আপনার ব্যাঙ্কের নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে লগ-ইন করে ITR ফাইলিং করতে পারবেন। এটি দ্রুত, সুরক্ষিত এবং খুবই সুবিধাজনক।

Advertisements

কেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করবেন?
অনেক সময় দেখা যায় পাসওয়ার্ড রিসেটের সময় ওটিপি (OTP) আসতে দেরি হয় বা কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হয়। ফলে ফাইলিংয়ের তারিখের শেষ মুহূর্তে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে লগ-ইন করলে এই ঝামেলা থাকে না।

ফাইলিং-এর সহজ ধাপগুলো:
১. প্রথমে আপনার ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এ লগ-ইন করুন।
২. ‘Payments and Transfers’ মেনুতে যান।
৩. এরপর ‘Manage Your Taxes’ সিলেক্ট করুন।
৪. তারপর ‘Income Tax e-Filing’ বেছে নিন। (এটি আপনাকে সরাসরি আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে)
৫. তারপর Quick e-File ITR সিলেক্ট করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রিটার্ন জমা দিন।
৬. প্রয়োজনে রিটার্ন আপলোড, ফর্ম 26AS দেখা, রেকটিফিকেশন রিকোয়েস্ট, ট্যাক্স ক্যালকুলেটর, ITR ডাউনলোড এবং ই-পেমেন্ট অপশনগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে:
এদিকে, আয়কর দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ কর বছরের (Assessment Year 2025-26) জন্য ITR জমার শেষ তারিখ বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ছিল ৩১ জুলাই।

এই সময়সীমা বাড়ানোর ফলে অনেক করদাতাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। বিশেষ করে যাদের অ্যাকাউন্ট অডিটের প্রয়োজন নেই, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা। সাধারণত ব্যবসায়ী, ফ্রিল্যান্সার এবং ছোট উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকেই শেষ মুহূর্তে রিটার্ন ফাইল করেন। ফলে নতুন সময়সীমা তাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

করদাতাদের উদ্দেশ্যে আয়কর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে না পারলে বিভিন্ন ধরনের জরিমানা এবং অতিরিক্ত সুদের বোঝা বহন করতে হতে পারে। তাই শেষ তারিখের আগেই রিটার্ন ফাইল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, সময়মতো রিটার্ন ফাইল করলে রিফান্ড পাওয়ার প্রক্রিয়াও দ্রুত হয়। অর্থাৎ আপনার ট্যাক্স রিফান্ড, যদি থাকে, তাও তাড়াতাড়ি আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

যদি আপনার আয়কর পোর্টালের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। আপনার ব্যাঙ্কের নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করুন এবং সহজে, নিরাপদে এবং সময়মতো আপনার রিটার্ন ফাইল করুন। এছাড়াও, নতুন সময়সীমার সুবিধা নিয়ে অবিলম্বে আপনার রিটার্ন জমা দিন। এটি শুধু জরিমানার ঝামেলা এড়াবে না, বরং আপনার আর্থিক পরিকল্পনাকেও সহজ করবে।