ভারতে যখনই নিরাপদ বিনিয়োগের কথা উঠে আসে, বেশিরভাগ মানুষই নির্দ্বিধায় চিন্তা করেন FD (ফিক্সড ডিপোজিট), সোনা কিংবা PPF (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড) সম্পর্কে। কিন্তু PPF যে শুধুই একটি ট্যাক্স-বাঁচানো বা ছোটখাটো সঞ্চয়ের প্রকল্প নয়, বরং আপনাকে কোটিপতি করে তুলতে পারে, সেই ধারণা এখনো বহু মানুষের অজানা।
PPF: নিরাপদ বিনিয়োগ, বড় রিটার্ন
বর্তমানে PPF-এ বার্ষিক সর্বোচ্চ ₹১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই প্রকল্পে সরকার বছরে ৭.১% হারে সুদ দেয় এবং এটি ১৫ বছরের জন্য লক-ইন থাকে। এখানেই অনেকে ভুল করে — ১৫ বছর পর টাকা তুলে নেন এবং ব্যয় করেন।
কিন্তু PPF-এর আসল ‘ম্যাজিক’ শুরু হয় ম্যাচিউরিটির পর।
PPF-এর কোটিপতি রহস্য: চক্রবৃদ্ধি সুদ ও এক্সটেনশন
PPF-এর বড় শক্তি দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে —
চক্রবৃদ্ধি সুদের ক্ষমতা (Power of Compounding)
মেয়াদ শেষে এক্সটেনশন নেওয়ার সুযোগ
PPF অ্যাকাউন্ট ১৫ বছর পর ৫ বছরের ব্লকে যতবার খুশি বাড়ানো যায়। আর আপনি যদি সেই অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে টাকা জমা দিতে থাকেন, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে এই একাউন্টে জমা হওয়া অর্থ বিশাল অঙ্কে পৌঁছে যেতে পারে।
কীভাবে তৈরি হবে ২ কোটি?
আপনি যদি বছরে ১.৫ লক্ষ করে ২৫–৩০ বছর ধরে PPF-এ জমা দেন এবং সুদের হার গড়ে ৭.১% ধরে রাখেন,
তাহলে চক্রবৃদ্ধি সুদের জোরে আপনি ৩০ বছরে ২ কোটিরও বেশি ফান্ড তৈরি করতে পারেন।
এই হিসেব কেবল সরকারের নির্ধারিত ন্যূনতম বিনিয়োগে — যদি আপনি প্রত্যেক বছর ঠিক সময়ে, পূর্ণ পরিমাণে জমা করেন, এবং ম্যাচিউরিটির পরও একাউন্ট এক্সটেন্ড করেন — তাহলে ট্যাক্স-ফ্রি লাভে আপনি কোটিপতির পথে এগিয়ে যেতে পারেন।
PPF-এর বিশেষ সুবিধা:
সম্পূর্ণ ট্যাক্স-ফ্রি রিটার্ন (EEE ছাড়)
সরকার দ্বারা গ্যারান্টেড প্রকল্প
দীর্ঘমেয়াদে বিপুল ফান্ড তৈরির সুযোগ
সহজে ব্যাঙ্ক/ডাকঘর থেকে খোলা যায়
ঝুঁকি একেবারেই নেই, বাজার-ভিত্তিক নয়
কাদের জন্য উপযুক্ত?
যারা দীর্ঘমেয়াদি ও নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছেন
যারা অবসরকালীন সঞ্চয় তৈরি করতে চান
মধ্যবিত্ত পরিবার যাদের নিয়মিত ছোট অঙ্কে সঞ্চয় করার ক্ষমতা আছে
অনেকেই কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু তার জন্য বিপুল ঝুঁকি নিতে চান না। PPF হল সেই সোনার সুযোগ, যেখানে ঝুঁকি নেই, অথচ ধৈর্য ও নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে ২ কোটি বা তার বেশি টাকার সঞ্চয় সম্ভব।
তাই আজ থেকেই নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য একটি PPF অ্যাকাউন্ট চালু করুন, এবং দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের রাস্তায় পা বাড়ান — একজন কোটিপতি হওয়ার পথে!