নতুন করে জিএসটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। আগামী ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হবে নতুন জিএসটি রেজিস্ট্রেশন (GST registration) সিস্টেম, যার লক্ষ্য ক্ষুদ্র ব্যবসা ও সরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ করা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।
স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু:
নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসার মাসিক আউটপুট ট্যাক্স দায় ২.৫ লক্ষ টাকার কম, তাদের জন্য আর ম্যানুয়াল নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। এই শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখন থেকে স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন পাবেন মাত্র তিন কার্যদিবসের মধ্যে। সরকারের আশা, এই পদক্ষেপে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিলম্ব অনেকটাই কমবে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য জিএসটি-সংক্রান্ত ঝামেলাও হ্রাস পাবে।
জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদন:
এই নতুন সিস্টেমটি ইতিমধ্যেই জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদন পেয়েছে। এটি সরকারের চলমান জিএসটি সংস্কার কর্মসূচির অংশ। সূত্র অনুযায়ী, নতুন ব্যবস্থায় প্রথমবারের আবেদনকারীরা অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন এবং তিন দিনের মধ্যেই তাদের আবেদন গৃহীত বা অনুমোদিত হবে। ফলে ম্যানুয়াল যাচাই প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হবে।
দুই ধরণের আবেদনকারীর জন্য নতুন সুবিধা:
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন সুবিধা দুই ধরণের আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে—
১. যাদের সিস্টেম ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করবে,
২. যেসব ব্যবসা নিজে থেকেই স্ব-মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করবে যে তাদের মাসিক ট্যাক্স দায় ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়।
এই দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীরা দ্রুত অনুমোদন পাবেন, যা নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু করার পথে এক বড় সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
৯৬% নতুন আবেদনকারীর উপকার:
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই সংস্কার প্রায় ৯৬ শতাংশ নতুন আবেদনকারীকে সরাসরি উপকৃত করবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্যোক্তারা বিশেষভাবে এই পদক্ষেপে লাভবান হবেন।
সরকারের মনোযোগ কার্যকর বাস্তবায়নে:
নির্মলা সীতারামন গাজিয়াবাদে নতুন সিজিএসটি ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, “সরকারের মূল ফোকাস এখন নীতিনির্ধারণ থেকে সরে এসে বাস্তবায়নের দিকে। স্থানীয় স্তরে কার্যকর প্রয়োগই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
এই নতুন জিএসটি নিবন্ধন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ব্যবসায়িক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এক বড় রূপান্তর আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এটি সরকারের “Ease of Doing Business” উদ্যোগকেও আরও গতি দেবে।


