পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) সংগ্রহে কর্ণাটক এখন দেশের দ্রুততম-বর্ধনশীল বড় রাজ্য। ২২ সেপ্টেম্বর জিএসটি হারের সংস্কারের পর অক্টোবর মাসে রাজ্যের রাজস্ব বৃদ্ধি দেশের সব বড় রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যুরো (PIB)-র প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু ও হরিয়ানা মিলিয়ে দেশের মোট জিএসটি আয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি এসেছে, যা এই রাজ্যগুলির উৎপাদন ও ভোগ কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করেছে।
কর্ণাটকের দ্বিগুণ সাফল্য:
অক্টোবরে কর্ণাটকের জিএসটি সংগ্রহ ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৯৫ কোটি টাকায়, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৩,০৮১ কোটি টাকা। সমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য তেলেঙ্গানাও—গত বছরের ৫,২১১ কোটি টাকা থেকে এই বছর বেড়ে ৫,৭২৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই দুই রাজ্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধিই দেশের সামগ্রিক রাজস্ব বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
অন্যান্য বড় রাজ্যের পারফরম্যান্স:
অন্যদিকে গুজরাটে জিএসটি আয় বেড়েছে ৬ শতাংশ (১২,১১৩ কোটি টাকা বনাম ১১,৪০৭ কোটি টাকা), তামিলনাড়ুতে ৪ শতাংশ (১১,৫৮৮ কোটি টাকা বনাম ১১,১৮৮ কোটি টাকা) এবং মহারাষ্ট্রে ৩ শতাংশ (৩২,০২৫ কোটি টাকা বনাম ৩১,০৩০ কোটি টাকা)। ওড়িশা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশও ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে, যথাক্রমে ৫%, ৩% ও ২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের মোট আদায়ে রেকর্ড বৃদ্ধি:
অক্টোবর ২০২৫-এ দেশের মোট জিএসটি সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১,৯৫,৯৩৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের অক্টোবর মাসের ১,৮৭,৩৪৬ কোটির তুলনায় ৪.৬ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের মরশুমে চাহিদা বৃদ্ধি এবং জিএসটি হার সংস্কারের প্রাথমিক প্রভাবই এই বৃদ্ধির মূল কারণ।
কেন্দ্র সরকার সেপ্টেম্বরে জিএসটির চার-স্তরবিশিষ্ট হার কাঠামো—৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮%— কমিয়ে দুটি প্রধান স্তরে, ৫% ও ১৮%-এ নিয়ে এসেছে। সরকারের মতে, এই সংস্কার করদাতাদের জন্য প্রক্রিয়াকে সহজ করবে, জটিলতা কমাবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পথকে আরও মজবুত করবে।


