২২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোয় বিশেষ পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র সরকার। পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) ব্যবস্থায় বড় সংস্কার আনতে আগের চারটি স্ল্যাবের বদলে এখন মাত্র দু’টি স্ল্যাব চালু করা হয়েছে—৫% এবং ১৮%। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্র উভয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। সরকারি দাবি, এই পরিবর্তনে প্রায় ৯৯% দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের দাম কমে গেছে।
কোথায় অভিযোগ জানাবেন?
যদি কোনো দোকান, কোম্পানি বা পরিষেবা প্রদানকারী নতুন কম কর হারের সুবিধা না দেয়, তাহলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন টোল-ফ্রি নম্বর ১৯১৫-এ। কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৮০০০০১৯১৫–এও অভিযোগ পাঠানো যাবে। পাশাপাশি, INGRAM গ্রিভ্যান্স পোর্টাল থেকেও অভিযোগ নথিভুক্ত করা যাবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে—গ্রাহকরা যেন যে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করেন এবং সেই অভিযোগ সরাসরি সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে।
পুরনো জিএসটি ব্যবস্থা বনাম নতুন হার:
আগের কর ব্যবস্থায় ছিল মোট চারটি স্ল্যাব—৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। এতে মূলত দাম নির্ধারণে জটিলতা তৈরি হতো। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এতে বিভ্রান্তি থাকতো। নতুন আপডেটে ১২% ও ২৮% স্ল্যাব বাতিল করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র ৫% কম হার এবং ১৮% সাধারণ হার রাখা হয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে দৈনন্দিন অনেক পণ্যের জিএসটি ১৮% থেকে কমে ৫% হয়েছে। এমনকি কিছু পণ্যের ওপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। ফলস্বরূপ বাজারে দাম কমেছে, এবং সাধারণ ভোক্তারা সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন।
কোম্পানিগুলির ওপর নজরদারি বাড়লো:
সরকার জানিয়েছে, বাজারদর নিয়ে কোনো কোম্পানি যেন গ্রাহকদের ঠকাতে না পারে, সেই বিষয়টি সরাসরি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। কর কমলেও যদি দাম কমানো না হয়, তবে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রাহকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা:
গ্রাহকদের সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সে কারণে অভিযোগ প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, অনলাইন পোর্টাল — সব মাধ্যমে অভিযোগ করা এখন তুলনামূলকভাবে সহজ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো—প্রত্যেক ভোক্তা যেন জিএসটি সংস্কারের সম্পূর্ণ সুবিধা পান এবং বাজারে ন্যায্য মূল্য বজায় থাকে।
