অবসরের পর পেনশন কি কমানো যাবে? কেন্দ্রের বড় ঘোষণা

Government Pension Reduction Rules

কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পষ্টীকরণ জারি করেছে যেখানে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর পেনশন বা পারিবারিক পেনশন একবার অনুমোদিত বা সংশোধিত হওয়ার পর তা পেনশনভোগীর ক্ষতির দিকে কমানো যাবে না। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে Central Civil Services (Pension) Rules, 2021 অনুযায়ী।

Advertisements

দুটি বছরের মধ্যে ক্লারিক্যাল ভুল সংশোধন করা যাবে:

পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ দফতর (DoPPW) তাদের সর্বশেষ অফিস মেমোর্যান্ডাম (OM) এ জানিয়েছে, শুধুমাত্র ক্লারিক্যাল বা লেখার ভুলের ক্ষেত্রে পেনশন পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এমন ভুল যদি পেনশন অনুমোদন বা সংশোধনের দুই বছরের বেশি সময় পরে ধরা পড়ে, তাহলে সেই সংশোধন করতে হলে পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ দফতরের অনুমোদন নিতে হবে।

   

দফতর আরও জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে যে উক্ত ক্লারিক্যাল ভুলের ভিত্তিতে পেনশন সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি না।

অতিরিক্ত অর্থপ্রদান হলে কী হবে? Government Pension Reduction Rules

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোনো সংশোধনের ফলে পেনশন বা পারিবারিক পেনশনের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান ঘটে, তবে সেই অর্থ ফেরত আদায় করা হবে কি না, তা নির্ধারণ করবে ব্যয় বিভাগ (Department of Expenditure)।

তবে, যদি এই অতিরিক্ত অর্থপ্রদানের কারণ হয় পেনশনভোগী বা পারিবারিক পেনশনভোগীর মিথ্যা তথ্য প্রদান বা ভুল তথ্যের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত চালাতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisements

দুই মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা:

যদি সিদ্ধান্ত হয় যে অতিরিক্ত প্রদত্ত অর্থ মাফ করা যাবে না, তাহলে পেনশনভোগীকে দুই মাসের মধ্যে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ ফেরত না দিলে, ভবিষ্যতের পেনশন থেকে কেটে নেওয়া হবে — একবারে বা একাধিক কিস্তিতে।

সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট:

এই নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। কোনো প্রশাসনিক ভুল বা বিলম্বের কারণে তাদের পেনশন হ্রাস করা যাবে না। তবে একইসঙ্গে, যদি কেউ ভুল তথ্য দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেষ কথা:

এই পদক্ষেপের ফলে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার বার্তা পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।