সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবারে কলকাতার সোনার বাজারে (Gold Price) আবারও দেখা গেল উর্ধ্বগতি। ইতিমধ্যেই চলতি মাসে সোনার দর প্রায় ২৫৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, যা সাধারণ মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য বেশ ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবারের দর অনুযায়ী, কলকাতার বাজারে ২৪ ক্যারাট পাকা সোনার (বার) দাম (Gold Price) (Gold Price) দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০ গ্রামে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি। আবার খুচরো দরে সেই একই সোনার বার বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৯০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে। অন্যদিকে, ২২ ক্যারাট হলমার্কযুক্ত গয়নার সোনার দর হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম (Gold Price) ।
এখানেই শেষ নয়, রুপোর দামেও দেখা যাচ্ছে হালকা পরিবর্তন। খুচরো বাজারে প্রতি কেজি রুপো বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৯০০ টাকায়। যদিও সোনার তুলনায় রুপোর দামের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম, তবুও বিনিয়োগের দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অনেকের কাছে।
না, এই দরে সোনা বা রুপো বাজার থেকে সরাসরি কেনা সম্ভব নয়। কারণ, এই মূল্য শুধুমাত্র সোনার ভিত্তি মূল্য বা “base rate”। এর সঙ্গে যুক্ত হবে জিএসটি (GST) এবং গয়না তৈরির মজুরি। বর্তমানে সোনার উপর জিএসটি নির্দিষ্টভাবে ৩ শতাংশ ধার্য রয়েছে, যা সব বিক্রেতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে গয়না তৈরির মজুরি বিপণিভেদে আলাদা হয় — কোনো দোকানে এটি হতে পারে ৮ শতাংশ, আবার কোথাও ১৫ শতাংশ পর্যন্তও পৌঁছাতে পারে।
সুতরাং, আপনি যদি ১০ গ্রাম ২২ ক্যারাট গয়নার সোনা (Gold Price) কিনতে চান, এবং ধরুন বিক্রেতা ১২ শতাংশ মজুরি ধার্য করছে, তাহলে মোট দাম দাঁড়াবে: মূল্য: ১,০১,৬০০ + মজুরি (১২%) ১২,১৯২ + জিএসটি (৩%) ৩,৪১৭.৭৬ (প্রায়)
এ থেকে বোঝা যায়, ঘোষিত দরের চেয়ে বাজারে গিয়ে সোনা কেনার খরচ অনেকটাই বেশি পড়ে। তাই দামের আপাতত নিখুঁত বোঝাপড়া ছাড়া সোনা কিনতে গেলে হতাশা হতে পারে।
সোনার দামের এই ঊর্ধ্বগতি আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবেই ঘটেছে। বর্তমানে মার্কিন ডলারের দুর্বলতা, আন্তর্জাতিক মন্দা-ভীতির আশঙ্কা, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির স্বর্ণমজুদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে সোনার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়াও, শারদীয়া উৎসবের আগে ভারতীয় বাজারে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে — যা দাম বৃদ্ধির আরেকটি বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের সপ্তাহগুলোতে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে, বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময়ের দিকে। রুপোর দামে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলতা থাকলেও, বিনিয়োগের দিক থেকে অনেকেই এখন সোনা ও রুপো দুটোই বেছে নিচ্ছেন। কারণ সোনা দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষিত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হলেও, রুপো সাধারণত বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ছোট বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয়