রোজই বেড়েই চলেছে সোনার দাম (Gold Price) । মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল ক্রেতা থেকে বিক্রেতার। কিন্তু আজ মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে হলুদ ধাতুর দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারাট সোনার দাম(Gold Price) প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৯৫ টাকা। সোনার দাম (Gold Price) দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১,২১,০০০ টাকার কাছাকাছি।
অন্যদিকে, ১৮ ক্যারেট সোনার দাম (Gold Price) প্রতি গ্রামে ৮,৫৩৫ টাকা হয়েছে। আবার যারা রুপো কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্যও বাজারে দাম স্থির হয়েছে। ১ কেজি রুপোর দাম এখন ১,২৮,৫১০ টাকা। তবে এই সব দামের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত ৩ শতাংশ জিএসটি (GST) যোগ হবে। অর্থাৎ সোনা বা রুপো কেনার সময় মূল দামের ওপরে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। উৎসবের মরসুমে এবং বিবাহের সময় সোনার চাহিদা বাড়ে, যা দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
যদিও সোনার দাম ক্রমাগত বাড়ছে, বিনিয়োগকারীরা এটিকে এখনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখেন। স্টক মার্কেট বা রিয়েল এস্টেটে ঝুঁকি থাকলেও সোনা দীর্ঘমেয়াদে একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ। বিশেষ করে মাঝারি আয়ের মানুষের জন্য ছোট পরিমাণে সোনায় বিনিয়োগ করা (যেমন সোনার কয়েন, বার বা ডিজিটাল গোল্ডের মাধ্যমে) লাভজনক হতে পারে।
রুপোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও সোনার মতো রুপোর দাম অতটা দ্রুত ওঠানামা করে না, তবুও শিল্পক্ষেত্রে রুপোর ব্যাপক ব্যবহার থাকায় চাহিদা থাকে স্থিতিশীল। ফলে দীর্ঘমেয়াদে রুপোতেও বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।
এছাড়া সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে যে বিভিন্ন সোনার স্কিম বা বন্ডের ব্যবস্থা রয়েছে, তা ক্রেতাদের আরও উৎসাহিত করছে। যেমন, সোভেরেন গোল্ড বন্ড স্কিমের মাধ্যমে সোনায় বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত সুদ পাওয়া যায় এবং জিএসটি দিতে হয় না। ফলে ফিজিক্যাল গোল্ড কেনার তুলনায় খরচও কম হয়।
তাই বর্তমান বাজারে সোনা ও রুপোর দাম জানার পাশাপাশি কর বা অতিরিক্ত চার্জের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যাঁরা ছোট বা বড় বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য এ সময়টি নতুন করে আর্থিক ভবিষ্যৎ ভাবার সুযোগ এনে দিয়েছে।