আজ, ১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার বাংলার সোনার বাজারে (Gold Price) বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দামের ওঠানামার প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারেও। তবে আজকের সবচেয়ে বড় খবর—সোনার দামে ব্যাপক পতন হয়েছে, যা গ্রাহকদের জন্য এক বড়সড় স্বস্তির বিষয়।(Gold Price)
বিশেষ করে যারা গয়না কেনার পরিকল্পনা করছেন, কিংবা পুজো-পার্বণের আগে সোনায় বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য আজকের দিনটি দারুণ উপযুক্ত।(Gold Price)
আজকের সোনার রেট (১৬ জুলাই ২০২৫): কী দামে বিকোচ্ছে সোনা?
আজকের সোনার দামের তালিকা নিম্নরূপঃ
সোনার ধরন | ওজন | দাম (টাকায়) |
---|---|---|
২৪ ক্যারাট (Fine Gold 995) | ১ গ্রাম | ৯৭২৩ |
২২ ক্যারাট (কেনার সময়) | ১ গ্রাম | ৯২৩৫ |
২২ ক্যারাট (বিক্রির সময়) | ১ গ্রাম | ৮৮৪৮ |
১৮ ক্যারাট | ১ গ্রাম | ৭৫৮৫ |
রুপো (৯৯৯ বিশুদ্ধতা) | ১ কেজি | ১,১১,২৫৭ |
গতকালের তুলনায় আজ ২৪ ক্যারাট ও ২২ ক্যারাট সোনার দামে প্রায়(Gold Price) ২০০-২৫০ পর্যন্ত কমতি দেখা গেছে প্রতি গ্রামে। যার ফলে ১০ গ্রাম সোনার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ২০০০-২৫০০ পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।
সোনার দামে পতনের কারণ কী?
সোনার দামের ওঠানামা সবসময়ই বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ করে ডলারের দাম, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির নীতিগত সিদ্ধান্ত ও মন্দা বা মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস সোনার দামে প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি, মার্কিন ডলারের দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ফলে সোনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা কমেছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে সোনার দাম পড়ে গিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারে।
সোনার গয়না কেনার আদর্শ সময় এখন?
আজকের দরদাম দেখে সহজেই বলা যায়, এখনই সোনার গয়না কেনার আদর্শ সময়। বিশেষ করে যারা পূজো বা বিয়ের মরসুমে গয়না কেনার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য এই দাম উল্লেখযোগ্যভাবে লাভজনক।
এক ভরি (প্রায় ১১.৬৬৬ গ্রাম) ২২ ক্যারাট সোনার দাম আজ পড়ছে প্রায় ১,০৭,৭৩৩, যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২,৫০০ পর্যন্ত কম। অর্থাৎ, আপনি আজ গয়না কিনলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন।
রুপোর দামেও স্থিতিশীলতা
আজকের দিনে শুধু সোনাই নয়, রুপোর দামেও তেমন বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। ৯৯৯ বিশুদ্ধতার এক কেজি রুপো বিকোচ্ছে ১,১১,২৫৭ দামে। এটি শিল্পক্ষেত্র ও বিনিয়োগ—উভয় ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু, যার দামে স্থিতিশীলতা বাজারে আস্থা বজায় রাখছে।