বর্তমানে সোনার দাম যে অতিরিক্ত বেড়েছে, তা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা (Gold Price Hike) চলছে। ২৪ ক্যারেট সোনার দাম বর্তমানে প্রায় ৯৮ হাজার টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে, আর(Gold Price Hike) ২২ ক্যারেট সোনার দামও ৯০ হাজার টাকার সীমা পার করেছে। আর এটাই এখন সোনার বাজারে এক নতুন ঘটনা, কারণ এক সময় সোনার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকলেও, আজকাল তা অনেকটাই তাদের সীমার বাইরে চলে গেছে(Gold Price Hike)
এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,(Gold Price Hike) এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ কেবলমাত্র এক বা দুটি বিষয় নয়, বরং অনেক গুলোর সংমিশ্রণ। এমনকি তারা জানান, সোনার দাম এখনও সেখানেই থেমে থাকবে না। বরং এটি আরও অনেক বেড়ে যাবে। যা নিয়ে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। বর্তমানে, বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, বছরের শেষভাগে সোনার দাম ১ লক্ষ টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে(Gold Price Hike)
সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে কারা দায়ী?
(Gold Price Hike) বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাত, এবং ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া, গত দেড় বছরে অনেক দেশ তাদের রিজার্ভ সোনা কিনেছে, যা বাজারে সোনার চাহিদা বাড়ানোর এক বড় কারণ। বিশেষ করে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সংঘাতের কারণে সোনার দাম তীব্রভাবে বেড়েছে। একদিকে যেখানে আন্তর্জাতিক অস্থিরতা বাড়ছে, অন্যদিকে (Gold Price Hike) দেশগুলো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সোনাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এর ফলে, সোনার দাম একটি উর্ধ্বমুখী ধারা অবলম্বন করছে।
এছাড়া, ভারতসহ অন্যান্য দেশে সোনার প্রতি চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, উৎসবের সময় বা বিবাহের মরসুমে সোনার চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে, যা সরবরাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে না। ফলে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।(Gold Price Hike)
ভবিষ্যতে সোনার দাম কেমন হবে?
বিশ্ববাজারের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, (Gold Price Hike) সোনার দাম আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক গ্লোবাল মার্কেটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও সোনার দাম বাড়তে থাকবে। বিশেষ করে, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে, সোনার দাম ১ লক্ষ টাকার গণ্ডি অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের মধ্যে সোনার আমদানিও কমেছে। যেমন, মে মাসে সোনার আমদানি ২.৫ বিলিয়ন ডলারের হলেও, এপ্রিল মাসে তা ছিল ৩.১ বিলিয়ন ডলার। এর অর্থ হল, সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি, আমদানির পরিমাণ কমেছে, যা সরবরাহের সংকট তৈরি করেছে(Gold Price Hike)
সোনার দাম বাড়ার কারণ ও এর প্রভাব
সোনার দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির অস্থিরতা। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, এবং আঞ্চলিক যুদ্ধ বা সংঘাতের প্রভাব সরাসরি সোনার বাজারে পড়ছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে চলমান পরিস্থিতির কারণে সোনার দাম বাড়ছে। এতে করে সোনার প্রতি আন্তর্জাতিক চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।(Gold Price Hike) (Gold Price Hike)
এছাড়া, বহু বিনিয়োগকারী সোনাকে (Gold Price Hike) একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন, যেখানে অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের তুলনায় কম ঝুঁকি থাকে। একদিকে, যখন শেয়ার বাজারে উঠানামা হচ্ছে, তখন অন্যদিকে সোনা একটি স্ট্যাবল মুদ্রা হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে, সোনার প্রতি বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে, যা দাম বৃদ্ধি করার প্রধান কারণ।
মধ্যবিত্তের জন্য সোনার বাজার
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা যারা একসময় সহজেই সোনা কেনার(Gold Price Hike) সামর্থ্য রাখতেন, এখন তারা কিছুটা চিন্তিত। সোনার দাম এত বেড়ে গেছে যে, এটি অনেকের কাছে অসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে সোনার দাম বৃদ্ধির পরও, সোনার বাজারে বিনিয়োগের আকর্ষণ কমেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোনা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে নিরাপদ এবং স্থিতিশীল থাকতে পারে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বাজারে অস্থিরতা প্রবণ।(Gold Price Hike)
এছাড়া, সোনার দাম বাড়লেও, এর প্রতি দেশের জনগণের (Gold Price Hike) আকর্ষণ তেমন কমেনি। কারণ সোনা শুধুমাত্র আর্থিক বিনিয়োগের উপকরণ নয়, বরং একটি ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বও রয়েছে। উৎসব বা বিবাহিত জীবনযাত্রায় সোনা একটি অপরিহার্য বস্তু হিসেবে দেখা হয়।