সোনাকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে। ভারত, যেটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার ভোক্তা, চীনের পর, দেশের সোনার চাহিদার বেশিরভাগই পূর্ণ হয় আমদানির মাধ্যমে, তবে একটি অংশ স্থানীয়ভাবে পুনঃপ্রক্রিয়াকৃত সোনার মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ভারতীয় সোনার দাম বিশ্ব বাজারের সোনার দামের পাশাপাশি ডলারের মূল্য, বন্ডের সুদের হার, শুল্ক, এবং আমদানির শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত হয়।
বর্তমানে, ভারতের বিভিন্ন শহরে সোনার দাম বিভিন্ন কারণে সামান্য পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে সামগ্রিকভাবে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলুন দেখে নিই, ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে সোনার বর্তমান মূল্য কী রকম:
দিল্লি:
দিল্লিতে ২২ ক্যারেট সোনার দাম বর্তমানে প্রতি গ্রামে ৮,০৬৬ টাকা, এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৮,৭৯৮ টাকা।
চেন্নাই:
চেন্নাইয়ে ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৮,০৫১ টাকা, এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
বেঙ্গালুরু:
বেঙ্গালুরুতে সোনার দাম ২২ ক্যারেটের জন্য ৮,০৫১ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেটের জন্য ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
মুম্বাই:
মুম্বাইয়ের সোনার দাম ২২ ক্যারেটের জন্য ৮,০৫১ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেটের জন্য ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
পুনে:
পুনেতে সোনার দাম ২২ ক্যারেটের জন্য ৮,০৫১ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেটের জন্য ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
কলকাতা:
কলকাতায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮,০৫১ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
আহমেদাবাদ:
আহমেদাবাদে সোনার দাম ২২ ক্যারেটের জন্য ৮,০৫৬ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেটের জন্য ৮,৭৮৮ টাকা প্রতি গ্রাম।
হায়দ্রাবাদ:
হায়দ্রাবাদে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮,০৫১ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেটের জন্য ৮,৭৮৩ টাকা প্রতি গ্রাম।
ইন্দোর:
ইন্দোরে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮,০৫৬ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮,৭৮৮ টাকা প্রতি গ্রাম।
লখনউ:
লখনউতে সোনার দাম ২২ ক্যারেট সোনার জন্য ৮,০৬৬ টাকা প্রতি গ্রাম, এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮,৭৮৮ টাকা প্রতি গ্রাম।
ভারতে সোনার দাম বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী সোনার দাম বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোনার মূল্যের ওঠানামা বিশ্ব অর্থনীতি এবং বিশেষ করে মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় মুদ্রা, রুপি, ডলারের বিপরীতে দুর্বল হওয়ার ফলে সোনার দাম বাড়ছে। এছাড়া, ভারতের সোনার আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক ও করের কারণে দাম বাড়ছে। এর ফলে, ভারতের ভোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা সোনাকে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সোনার দাম বৃদ্ধি একটি ধীরে ধীরে চলমান প্রবণতা হতে পারে। সোনার মূল্য বাড়ানোর পেছনে অন্যতম কারণ হলো সোনার প্রতি ভোক্তাদের আস্থা এবং বাজারের পরিস্থিতি। সোনার মূল্য বাড়ানোর সাথে সাথে, অনেক বিনিয়োগকারী সোনাকে স্থিতিশীল এবং নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনেক মানুষ সোনার দিকে মনোযোগী হচ্ছেন, যা সোনার প্রতি চাহিদা বাড়াচ্ছে।
এর পাশাপাশি, ভারতের সোনার বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্থানীয় সোনা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রভাব। প্রতিদিন বড় পরিমাণে পুরনো সোনা পুনরায় বাজারে আনা হচ্ছে, যা সরবরাহের একটি অংশ পূর্ণ করে। তবুও, আমদানি শুল্ক এবং দেশীয় চাহিদার কারণে সোনার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
সোনাকে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত ভারতে, যেখানে সোনার প্রতি প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে রয়ে গেছে। সোনার মূল্য বাড়ানোর প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে সোনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হতে পারে।
ভারতীয় বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি এর একটি প্রমাণ যে, এটি শুধু একটি ধনী শ্রেণির সম্পদ নয়, বরং সকল স্তরের মানুষের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।