শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সোনার দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। মুম্বাই বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০ গ্রামে ১,১৫,৪৮০ টাকা এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১,০৫,৮৫০ টাকা। একইসঙ্গে রুপোর দামও বেড়ে প্রতি কেজিতে ১,৪৯,০০০ টাকা ছুঁয়েছে।
আজকের সোনার দাম দেশের প্রধান শহরগুলোতে নিম্নরূপ:
দিল্লি: ২২ ক্যারেট – ১,০৬,০০০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৬৩০ টাকা।
জয়পুর: ২২ ক্যারেট – ১,০৬,০০০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৬৩০ টাকা।
আহমেদাবাদ: ২২ ক্যারেট – ১,১৫,৫৩০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৫৩০ টাকা।
পুনে: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
মুম্বাই: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
হায়দরাবাদ: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
চেন্নাই: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
বেঙ্গালুরু: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
কলকাতা: ২২ ক্যারেট – ১,০৫,৮৫০ টাকা, ২৪ ক্যারেট – ১,১৫,৪৮০ টাকা।
সোনার ভবিষ্যৎ দামের পূর্বাভাস: gold price hike sept 27
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন সময়ে সোনার দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতিমধ্যেই গত কয়েক মাসে সোনার দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শেয়ারবাজার ও রিয়েল এস্টেটসহ অন্য বিনিয়োগ মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্রোকারেজ ফার্ম পিএল ক্যাপিটালের ডিরেক্টর সন্দীপ রাইচুরা জানিয়েছেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৩,৮০০ মার্কিন ডলার হলেও তা আগামী দিনে ৪,৮০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে। অর্থাৎ প্রায় ২৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন বাজারে স্পট গোল্ডের দাম সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়ে প্রায় ৩,৭৯১.১১ ডলার হয়েছিল। দুই বছর আগের তুলনায় এ হার প্রায় দ্বিগুণ। একই দিনে সোনাভিত্তিক ইটিএফ-এ তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ প্রবাহিত হয়েছিল, যা বাজারে সোনার প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় করেছে।
সোনার দামের ওপর প্রভাবক কারণ:
ভারতে সোনার দামের ওঠানামা মূলত চারটি কারণে হয়ে থাকে:
1. আন্তর্জাতিক বাজারের হার – বৈদেশিক বাজারে সোনার দাম বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব ভারতীয় বাজারেও পড়ে।
2. আমদানি শুল্ক ও করনীতি – ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা আমদানিকারক দেশ। আমদানি শুল্ক বাড়লে অভ্যন্তরীণ বাজারেও দাম বাড়ে।
3. বিনিময় হার – ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হলে সোনার দাম বেড়ে যায়।
4. দেশীয় করনীতি ও আর্থিক অবস্থা – কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও দেশের আর্থিক পরিস্থিতি দামের ওঠানামায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভারতীয়দের জীবনে সোনার গুরুত্ব:
ভারতীয় সমাজে সোনা শুধুমাত্র একটি বিনিয়োগ নয়, বরং আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। বিয়ে, পূজা-পার্বণ, এবং উৎসবে সোনার ব্যবহার অপরিহার্য। পাশাপাশি আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বহু পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই সোনাকে সঞ্চয়ের ভরসা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতায় সোনার বাজার প্রতিদিন ওঠানামা করছে। তাই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিদিনের দামের খোঁজ রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য সোনা একটি সুরক্ষিত বিকল্প হলেও বাজারের পরিবর্তন মাথায় রেখে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করা উচিত।
শেষ কথা:
সোনার দাম বর্তমানে রেকর্ড উচ্চতায় এবং এর ঊর্ধ্বমুখী ধারা আগামী দিনেও চলতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজার, ডলার-টাকার বিনিময় হার, এবং আমদানি নীতির পরিবর্তনই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতের দাম। বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত বাজার বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।