Fuel Price Update: নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্রের দাম যখন প্রতিদিন আকাশছোঁয়া হয়ে চলেছে, তখন সাধারণ মানুষের জীবনে একটু স্বস্তির খবরে আশার আলো দেখছে গোটা দেশ। পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে কোনও বাড়তি চাপ না আসা আজকের দিনে সত্যিই একটি বড় রকমের স্বস্তির বিষয়। দেশের ছয়টি বড় শহর — দিল্লি, নয়ডা, গুরগাঁও, লখনউ, চণ্ডীগড় এবং পাটনায় আজ জ্বালানির দামে না কোনো বৃদ্ধি হয়েছে, বরং কিছু শহরে সামান্য হ্রাসও দেখা গেছে। এটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন প্রতিটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার দিনগোনা করছে কোন খরচটি আগে সামলাবে।
আজ দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৯৪.৭৭ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৭.৬৭ টাকা প্রতি লিটার রয়েছে, যা আগের দিনের মতোই স্থির রয়েছে। একইসঙ্গে, সিএনজির দামও ৭৬.০৯ টাকা প্রতি কিলোগ্রামে অপরিবর্তিত রয়েছে। নয়ডায় পেট্রোলের দাম ৯৪.৮৭ টাকা ও ডিজেল ৮৮.০১ টাকা, গুরগাঁওয়ে পেট্রোল ৯৫.০৭ টাকা ও ডিজেল ৮৭.৯৬ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। চণ্ডীগড়ে পেট্রোলের দাম ৯৪.৩০ টাকা ও ডিজেল ৮২.৪৫ টাকা, লখনউয়ে পেট্রোল ৯৪.৬৯ টাকা এবং ডিজেল ৮৭.৮১ টাকা, আর পাটনায় পেট্রোলের দাম ১০৫.২৩ টাকা ও ডিজেলের দাম ৯২.০৯ টাকা প্রতি লিটার আছে।
যদিও দক্ষিণ ভারতের কিছু শহর, বিশেষ করে তিরুবনন্তপুরমে এখনও পেট্রোলের দাম ১০৫ টাকার ওপরে রয়ে গেছে, কিন্তু গোটা দেশের বাকি অংশে জ্বালানির দামে এই স্থিতাবস্থা অনেকটাই স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে।
এই দামগুলি প্রতিদিন সকাল ৬টায় আপডেট করে থাকে দেশীয় তেল কোম্পানিগুলি — ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম, ডলার-রুপি বিনিময় হার এবং প্রতিটি রাজ্যের করনীতির ওপর নির্ভর করে এই দামগুলো নির্ধারিত হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা তেলের দামে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের পেট্রোল-ডিজেলের দামে।
যদি কেউ নিজের শহরের তাজা দাম জানতে চান, তাহলে মোবাইল থেকে ‘RSP <স্পেস> ডিলার কোড’ লিখে ৯২২৪৯ ৯২২৪৯ নম্বরে পাঠালেই মিলবে আপডেটেড তথ্য। এই ডিলার কোড নিজের নিকটবর্তী পেট্রোল পাম্প থেকেই সংগ্রহ করা যাবে।
এই ক্ষণিকের স্বস্তি, যদিও সামান্য, কিন্তু দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে এটি অনেক বড় ব্যাপার। যারা প্রতিদিন সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে অফিস, বাজার কিংবা স্কুলের পথে হাঁটে, তাদের মনে আজ একটু হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে — যে হয়তো আজকের দিনটা একটু সহজ হবে।
এই ধরনের ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তনই সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। সরকার ও সংস্থাগুলোর উচিত এই স্থিতাবস্থাকে ধরে রাখা এবং ভবিষ্যতেও সাধারণ মানুষের স্বার্থে আরও পরিকল্পনা নেওয়া। দিনশেষে, একজন সাধারণ মানুষ শুধু চায় – একটু স্বস্তি, একটু নিশ্চিন্তে বাঁচার সুযোগ।