নিত্যদিনের বাড়তি খরচের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠছে। তারই মাঝে শাক-সবজি থেকে কলকাতার বাজারের জিনিশপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। অন্যদিকে ফলের দামের একই অবস্থা। (Fruit price)। যা ক্রেতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ক্রেতাদের পকেটে যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আপেল, বেদানা, নাশপাতি সহ বহু ফলের দাম বেড়েছে অত্যাধিক। সাএমত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ফল কেনার ব্যাপারে দ্বিধায় পড়ছে।
তিন বছর আগে আপেলের দাম ছিল ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং মুসাম্বির দাম ছিল ১০ টাকা প্রতি। এখন তা বেড়ে ১৩ টাকা প্রতি হয়ে গেছে, এবং আপেলের দাম এখনো ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। বেদানা, আঙুর, পেঁপে সহ আরও অনেক ফলের দাম বেড়েছে।
কোন ফলের কত দাম?
আপেল: ২৫০ টাকা প্রতি কেজি
মুসাম্বি: ১৫০ টাকা প্রতি ডজন
আঙুর: ১২০ টাকা প্রতি কেজি
পেঁপে: ৮০ টাকা প্রতি কেজি
তরমুজ: ২৫-৩০ টাকা প্রতি কেজি
বেদানা: ২০০-২২০ টাকা প্রতি কেজি
শশা: ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি
কাঁঠালি কলা: ৫০-৬০ টাকা প্রতি ডজন
এছাড়া নাশপাতির দাম এতটাই বেড়েছে যে, যেই ফলটি তিন বছর আগে ২০০ টাকা প্রতি কেজি ছিল, এখন তা বেড়ে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়া এবং বাইরে থেকে আমদানি করার কারণে দাম বেড়েছে।
কী বলছেন সাধারণ মানুষ?
স্থানীয় বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত তিন বছরে গড়ে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি দাম বেড়েছে। তবে নাশপাতির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এক বিক্রেতা বলেন, “ফলের দাম খুব বেড়েছে। আগের মতো বেশি ফল কিনতে পারছি না।”
ক্রেতারা এখন কম ফল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এক ক্রেতা জানালেন, “তিন বছর আগে ৫০-৬০ টাকার ফল কিনে বাড়ি নিয়ে যেতাম, এখন সেটা ২০০ টাকা হয়ে গেছে।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গরমে শরীরের পুষ্টির জন্য। তবে দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষের জন্য ফল কেনা এখন কঠিন হয়ে উঠেছে।
বাজারে দাম বাড়তে থাকায় ক্রেতারা চিন্তিত, এবং তারা জানাচ্ছেন, কখন দাম কমবে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। তবে বিক্রেতারা আশাবাদী, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।