HomeBharatআম্বানি গ্ৰুপের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল ইডি

আম্বানি গ্ৰুপের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল ইডি

- Advertisement -

মুম্বই: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED attaches Reliance Group assets) আবারও বড় পদক্ষেপ নিল অনিল অম্বানি নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সংস্থাটি জানিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (RHFL), রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড (RCFL) এবং ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে জড়িত কথিত আর্থিক প্রতারণা মামলায় তারা নতুন করে ১,১২০ কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করেছে। এই সম্পত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে ১৮টিরও বেশি স্থাবর সম্পদ, একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং আনলিস্টেড শেয়ারহোল্ডিং।

ইডি জানিয়েছে, সংযুক্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের ২টি সম্পদ, রিলায়েন্স ভ্যালু সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ৯টি সম্পদ।

   

এছাড়াও ফিক্সড ডিপোজিট এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ সংযুক্ত হয়েছে রিলায়েন্স ভ্যালু সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড, রিলায়েন্স ভেঞ্চার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, ফাই ম্যানেজমেন্ট সলিউশনস, আধার প্রপার্টি কনসালটেন্সি এবং গেমসা ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে।

এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ত্রুটি, স্থগিত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

এই নতুন পদক্ষেপের ফলে ইডি কর্তৃক রিলায়েন্স গ্রুপের মোট সংযুক্ত সম্পদের মূল্য দাঁড়াল ১০,১১৭ কোটি টাকা। এর আগে একই মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে ইডি প্রায় ৮,৯৯৭ কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করেছিল, যার মধ্যে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স (RCOM), RHFL এবং RCFL–এর সম্পদ ছিল।

ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক RHFL–এ ২,৯৬৫ কোটি টাকা এবং RCFL–এ ২,০৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। পরে এই সম্পদগুলি নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA)-এ পরিণত হয়। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই অর্থের বড় অংশই চক্রাকার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপ কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে—যা মূলত জনসাধারণের বিনিয়োগ করা অর্থ।

ইডির অভিযোগ, মোট ১১,০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণের মাধ্যমে এমনভাবে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যা SEBI–র ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ নিয়মকে পাশ কাটিয়েছে। সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, এই অর্থের বড় অংশ পৌঁছে গেছে রিলায়েন্স নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ড ও ইয়েস ব্যাঙ্কের যৌথ ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা একটি জটিল আর্থিক চক্রের মাধ্যমে।

একই সঙ্গে ইডি আরেকটি তদন্ত করছে সিবিআই–র দাখিল করা একটি মামলার ভিত্তিতে, যেখানে অভিযোগ রয়েছে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে RCOM এবং অনিল অম্বানির নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলি মোট ৪০,১৮৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল। ইতিমধ্যেই ৯টি ব্যাঙ্ক এই ঋণ-অ্যাকাউন্টগুলোকে ফ্রড বলে চিহ্নিত করেছে।

ইডির দাবি, ১৩,৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে ঋণ ‘এভারগ্রিনিং’-এর পিছনে। তার সঙ্গে ১২,৬০০ কোটি টাকা সরানো হয়েছে গ্রুপের সহযোগী সংস্থাগুলিতে এবং ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ দেখিয়ে পরে তা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তদন্তে উঠে এসেছে, বিভিন্ন আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার এবং বিল ডিসকাউন্টিং মেকানিজমের অপব্যবহার হয়েছে। ইডির দাবি, এই সম্পূর্ণ চক্রটি ছিল জনসাধারণের অর্থকে একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘোরানো এবং ধাপে ধাপে সেগুলি বাইরে সরিয়ে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত আর্থিক কৌশল।

ইডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা জনসাধারণের অর্থের সুরক্ষা ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্থা বলছে, “এই মামলায় চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধার করে প্রকৃত দাবিদারদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular