শারদোৎসবের আনন্দের মাঝেই জেলার আবগারি দপ্তর আনন্দের সংবাদ দিলো—দেশি ও বিদেশি মদের বিক্রি (Liquor Sales) বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। তবে বিয়ার বিক্রিতে সামান্য কমতি দেখা গেলেও পুজোর মরশুমে মদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশি মদের বিক্রি ১.৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যেখানে দেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯৭.৭৭ লিটার, সেখানে এবার সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৬.১৫ লিটারে।
দেশি ও বিদেশি মদের বিক্রিতে যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেল, বিয়ার বিক্রি হয়েছে গত বছরের তুলনায় ৪.৩৯ শতাংশ কম। এর পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। অন্যতম হল বিয়ারের জনপ্রিয়তায় সাময়িক হ্রাস ও পুজোর সময় ভিন্ন ধরনের মদপানের প্রবণতা। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং মদের দাম বৃদ্ধিও একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা জুড়ে শারদোৎসবের সময় ২২৯টি মদের দোকান থেকে মোট ২৩ কোটি টাকারও বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। পুজোর উৎসবকে ঘিরে মদের চাহিদা বাড়ার কারণে রাজস্ব আয়েও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অবৈধ চোলাই মদ প্রজনন ও বিক্রির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ঠেক চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা আবগারি দপ্তর জানিয়েছে, মদের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। পুজোর সময় মদ বিক্রিতে কোনো ধরনের অনিয়ম বা অবৈধ কার্যকলাপ যেন না হয়, সেই বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোকানগুলোতেও নিয়মিত তল্লাশি ও নজরদারি চালানো হচ্ছে। মদ বিক্রেতাদের সচেতন করানো হচ্ছে সতর্কতার বিষয়গুলো নিয়ে যাতে আইনত কোনও সমস্যা না হয়।