দিল্লি বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামীকাল, কি থাকছে নতুন বাজেটে?

সোমবার দিল্লি বিধানসভার বাজেট(Delhi Budget) অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এই অধিবেশনটি দিল্লির পুরোনো সচিবালয়ে সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে। মঙ্গলবার নয়া দিল্লি সরকারের প্রথম বাজেট…

Delhi Assembly Budget

সোমবার দিল্লি বিধানসভার বাজেট(Delhi Budget) অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এই অধিবেশনটি দিল্লির পুরোনো সচিবালয়ে সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে। মঙ্গলবার নয়া দিল্লি সরকারের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করা হবে। দিল্লি বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান

আগামীকাল থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে এবং ২৫ মার্চ বাজেট পেশ করা হবে, পাশাপাশি বাজেট অধিবেশন চলাকালীন তৃতীয় সিএজি রিপোর্টও উপস্থাপন করা হবে।

   

বাজেট অধিবেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ এই সময়ে সরকার বিভিন্ন আর্থিক এবং নীতি বিষয়ক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এই অধিবেশনটি ২৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত চলবে, তবে প্রয়োজনে এটি বৃদ্ধি করা হতে পারে। স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন এবং বাজেট উপস্থাপিত হবে ২৫ মার্চ। তৃতীয় সিএজি রিপোর্টও এই অধিবেশনে পেশ করা হবে, যা দিল্লি পরিবহন কর্পোরেশন (ডিটিসি)-এর কার্যক্রমের উপর হবে।”

Advertisements

এই অধিবেশনে, প্রধানত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার জন্য উপস্থাপিত হবে। প্রথমত, ২৫ মার্চ দিল্লি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করা হবে, যা সরকারের আর্থিক অগ্রাধিকার এবং উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে। বাজেটে বিভিন্ন প্রকল্প, নীতি এবং সেবার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

দ্বিতীয়ত, ২৬ মার্চ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিধায়করা সরকারের আর্থিক বরাদ্দ, নীতি এবং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বাজেটের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করবেন। তৃতীয়ত, ২৭ মার্চ বাজেটের ব্যাপারে আলোচনা এবং ভোটাভুটি হবে। এই দিনে বিধানসভা বাজেটের ওপর আলোচনা করবে এবং এটি পাশ করার জন্য ভোট দেওয়া হবে।

২৮ মার্চ, শুক্রবার, প্রাইভেট মেম্বার্স’ রেজোলিউশনের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে, যেখানে সদস্যরা নিজেদের প্রস্তাব এবং বিল নিয়ে আলোচনা করবেন। এই দিনটিতে, বিধায়করা সরকারের বাইরে, ব্যক্তিগত সদস্যদের দ্বারা উত্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে।

এছাড়া বাজেট অধিবেশনের সময়, ২৪, ২৬, ২৭ এবং ২৮ মার্চ প্রশ্নোত্তর পর্বও অনুষ্ঠিত হবে, যা বিধানসভার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম। এই সময় মন্ত্রীরা বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে বিধায়কদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। বিধায়কদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ থাকবে যে তারা জনস্বার্থের বিষয় উত্থাপন করতে পারবেন। তবে, এ জন্য তারা কাজের দিনের শেষ সময়ে ৫টা পর্যন্ত নোটিস জমা দিতে হবে। প্রতিদিন প্রথম দশটি নোটিস নির্বাচিত হবে এবং তাদের ওপর আলোচনা করা হবে।

স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত বিধায়কদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা যেন বিধানসভার কার্যক্রমে শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। তিনি বলেন, “সকল সদস্যদের নিয়মিতভাবে প্রশ্ন, রেজোলিউশন এবং বিশেষ উল্লেখের জন্য নোটিস জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। সিটিংয়ের নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে এবং প্রতিদিন সকাল ১০:৫৫ টায় কোয়ারাম বেল বাজবে।”

প্রতি দিনের অধিবেশন সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লাঞ্চ বিরতি থাকবে। অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তার জন্য বিধানসভা সচিবালয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্যও সদস্যদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া, ২৮ মার্চ প্রাইভেট মেম্বার্স’ রেজোলিউশন এবং অন্যান্য প্রস্তাব উত্থাপন করতে আগ্রহী সদস্যদেরকে ১২ দিন আগে নোটিস জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। স্পিকার বিধায়কদেরকে এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে অধিবেশনটি সুষ্ঠু এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়।