আজ, ৫ই মার্চ, ২০২৫, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা তেলের দাম ৭০ ডলার প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়ে গেছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম আজ ৭০.৯৫ ডলার প্রতি ব্যারেল এবং WTI অপরিশোধিত তেলের দাম ৬৭.৮২ ডলার প্রতি ব্যারেল পরিমাণে চলছে। তবে, ভারতের বাজারে এই উর্ধ্বমুখী দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও সরকারি তেল কোম্পানিগুলি আজ (বুধবার) দেশের সমস্ত মহানগরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে।
বিশ্ববাজারে কাঁচা তেলের দাম গত কয়েকদিন ধরেই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং আজ তা ৭০ ডলার প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়েছে। এ ধরনের তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণত দেশীয় বাজারে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত থাকে। যদিও ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দামের পরিবর্তন অনুযায়ী প্রতিদিন পেট্রল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করে থাকে, আজকের মতো দামের স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
দেশের বড় শহরগুলোতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম আজও অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানী নতুন দিল্লিতে আজ পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে ৯৪.৭২ টাকা, এবং ডিজেলের দাম ৮৭.৬২ টাকা প্রতি লিটার। মুম্বইতে পেট্রলের দাম ১০৪.২১ টাকা, এবং ডিজেলের দাম ৯২.১৫ টাকা প্রতি লিটার। কলকাতাতে পেট্রলের দাম ১০৩.৯৪ টাকা, এবং ডিজেলের দাম ৯০.৭৬ টাকা প্রতি লিটার। এছাড়াও, চেন্নাইতে পেট্রলের দাম ১০০.৭৫ টাকা, এবং ডিজেলের দাম ৯২.৩৪ টাকা প্রতি লিটার রয়েছে।
ভারতের তেল কোম্পানিগুলি আন্তর্জাতিক বাজারের কাঁচা তেলের দামের পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রতি দিন পেট্রল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করে। ভারতীয় তেল বিপণন কোম্পানিগুলি যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম প্রতিদিন সকাল ৬টা নাগাদ দেশের বিভিন্ন শহরে পেট্রল ও ডিজেলের নতুন দামের হালনাগাদ জানিয়ে থাকে। এই দাম পরিবর্তনগুলি সাধারণত আন্তর্জাতিক কাঁচা তেলের দাম, ডলারের মান, এবং দেশীয় ট্যাক্সের ওপর নির্ভর করে।
তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কিছুটা চাপ পড়ছে। যদিও কেন্দ্র সরকারের তরফে এখনও কোনও বড়ো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয়ভাবে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের চাপ বাড়ছে। ভারতের তেল কোম্পানিগুলি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠাপড়া অনুযায়ী নিজেদের দাম পুনরায় নির্ধারণ করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে যদি দাম বাড়ানোর আশঙ্কা থাকে, তবে আগামী দিনে পেট্রল ও ডিজেলের দাম আরও বাড়তে পারে, যা জনগণের জন্য আরও চাপের কারণ হতে পারে।