আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থায় ক্রেডিট কার্ড এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনের মুহূর্তে কেনাকাটা হোক বা জরুরি খরচ, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেন। প্রতিটি কার্ডের একটি নির্দিষ্ট ব্যয় সীমা থাকে, যা গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর, কার্ডের ধরন ও আর্থিক আচরণের ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ গ্রাহকই নতুন কেনাকাটা বা খরচের প্রয়োজনে এই সীমা বাড়াতে চান।
কিন্তু এখানেই ঘটে বিপদ। অনেক প্রতারক ব্যাংকের কর্মী পরিচয়ে ফোন করে গ্রাহকদের ক্রেডিট লিমিট বাড়ানোর প্রলোভন দেখায় এবং ব্যক্তিগত তথ্য আদায় করে নেয়। একাধিক ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভুয়া কলের মাধ্যমে CVV, কার্ড নম্বর, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ, এমনকি মোবাইলে পাঠানো OTP পর্যন্ত জেনে নেয় স্ক্যামাররা। এসব তথ্য ব্যবহার করে তারা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও করে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সচেতনতাই রক্ষাকবচ। নিচে দেওয়া হলো প্রতারণা ঠেকাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ SOP—
১. কখনও কার্ড তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না:
ব্যাঙ্ক কোনোদিন ফোন করে CVV, OTP, PIN, কার্ড নম্বর বা মেয়াদ জানতে চায় না। কেউ চাইলে বুঝে নিন, সে প্রতারক।
২. অফিসিয়াল হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন:
যদি কেউ ব্যাংক কর্মী পরিচয়ে ফোন করে, প্রথমে গুগল বা ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কাস্টমার কেয়ার নম্বর নিন। অপরিচিত নম্বরে কল ব্যাক করবেন না।
৩. অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না:
“লিমিট বাড়ান”, “কার্ড বন্ধ হয়ে যাবে” — এমন বার্তা বা হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক সাধারণত ফেক। এতে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।
৪. ট্রানজ্যাকশন এলার্ট চালু রাখুন:
SMS/ই-মেইলে লেনদেন নোটিফিকেশন রাখলে কোনো অননুমোদিত ট্রানজ্যাকশন হলে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারবেন এবং কার্ড ব্লক করতে পারবেন।
৫. লিমিট বাড়াতে ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার করুন:
সব ব্যাঙ্কেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদে লিমিট বাড়ানোর সুযোগ থাকে। ফোনে অপরিচিত কাউকে তথ্য দেওয়ার চেয়ে নিজেই ব্যাংকের অ্যাপ থেকে প্রক্রিয়া করুন।
শেষ কথা:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু সতর্ক থাকলে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে অফিসিয়াল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করাই নিরাপদ।
