হেঁশেলে স্বস্তি, পুজোর মরশুমে কমল গ‌্যাসের দাম

দেশজুড়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম (LPG Cylinders Price) নিয়ে নিত্যদিন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ-হোটেল, ধাবা কিংবা নানা ধরনের…

Commercial LPG Cylinder Prices Cut, New Rates Applicable From Today

দেশজুড়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম (LPG Cylinders Price) নিয়ে নিত্যদিন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ-হোটেল, ধাবা কিংবা নানা ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান—সব ক্ষেত্রেই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার অপরিহার্য। এমন অবস্থায় সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দাম(LPG Cylinders Price) ।

তেল বিপণন সংস্থাগুলি (ওএমসি) জানিয়েছে, এবার ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁট করা হয়েছে। নতুন দামে সিলিন্ডার কেনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এই দামের হ্রাস সরাসরি প্রভাব ফেলবে হোটেল-রেস্তরাঁ শিল্পে, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়।

   

কতটা কমল দাম?

তেল সংস্থার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বড় শহরগুলিতে প্রায় ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের। যদিও অঞ্চলভেদে এই দাম কমা বা বাড়ার অঙ্ক কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাই সহ চার মহানগরে দামের পার্থক্য স্পষ্ট। তবে সামগ্রিকভাবে এই ছাড় ব্যবসায়ীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর।

কেন কমানো হল দাম?

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের দামে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার বিপরীতে ডলারের দরও কিছুটা স্থিতিশীল। এর ফলেই দেশে গ্যাসের দামে এই সংশোধন আনা সম্ভব হয়েছে। প্রতি মাসের ১ তারিখে সাধারণত তেল ও গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। সেই নিয়ম মেনেই সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনে এই সংশোধনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হল।

ব্যবসায়ী ও রেস্তরাঁ মালিকদের প্রতিক্রিয়া

Advertisements

কলকাতার এক হোটেল মালিক জানিয়েছেন, “বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম এতদিন ধরে অত্যধিক বেড়ে যাচ্ছিল। এতে আমাদের ব্যবসায়িক খরচ বাড়ছিল। আজকের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।” ছোট রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে বড় হোটেল, কেটারিং ব্যবসা—সব ক্ষেত্রেই এই দাম কমা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাধারণ মানুষের উপকার হবে কীভাবে?

যদিও দাম কমানো হয়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে, তবে এর সুফল সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছতে পারে। কারণ, হোটেল ও রেস্তরাঁর খরচ কিছুটা কমলে খাবারের দাম বাড়তি চাপ পড়বে না। একই সঙ্গে কেটারিং ও মেস সার্ভিসের ক্ষেত্রেও খরচ কিছুটা কমবে। ফলে সাধারণ মানুষও পরোক্ষে এই সিদ্ধান্তের সুবিধা পাবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে যদি অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কিছুটা কমে, তাহলে আগামী মাসগুলিতেও গ্যাস সিলিন্ডারের দামে আরও ছাড় আসতে পারে। তবে বিপরীতে পরিস্থিতি বদলালে আবার দাম বাড়তেও পারে।

সবমিলিয়ে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো। বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দামে কাটছাঁট রান্নাঘরের খরচে স্বস্তি দেবে, সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের পকেটেও এর প্রভাব পড়বে।