অন্ধ্রপ্রদেশে কগনিজেন্টের বিপুল বিনিয়োগ, ৯৯ পয়সায় জমি দিচ্ছে রাজ্য সরকার

demand-for-office-space-in-india-increases-colliers-new-report

অন্ধ্রপ্রদেশ: তথ্য প্রযুক্তি খাতে এবার বিরাট কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি করল চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার। রাজ্যে ৮ হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি সহ মোট ₹১৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আনতে চলেছে আইটি জায়ান্ট কগনিজেন্ট (Cognizant)। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ও কগনিজেন্টের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

চন্দ্রবাবু নাইডু মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরে এসেই যে উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এটি তারই প্রমাণ। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কগনিজেন্টকে রাজ্য সরকার মাত্র ৯৯ পয়সা প্রতি বর্গমিটারে জমি বরাদ্দ করতে চলেছে, যা একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মূল তথ্য:
বিনিয়োগের অঙ্ক: ₹১৬০০ কোটি

নতুন কর্মসংস্থান: ৮,000 জন (প্রধানত আইটি ও সহায়ক পরিষেবায়)

জমি বরাদ্দ: ৯৯ পয়সা/বর্গমিটার

প্রকল্প এলাকা: বিশাখাপত্তনম (Visakhapatnam) সম্ভাব্য স্থান

চুক্তি: কগনিজেন্ট ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের মধ্যে MOU স্বাক্ষরিত

কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ?
রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগ আসছিল না।

চন্দ্রবাবু নাইডু প্রশাসনের ফেরার পর বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব বাড়ছে।

Advertisements

দক্ষিণ ভারতের মধ্যে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এখন অন্ধ্রও এক বড় প্লেয়ার হতে চাইছে।

চাকরি খুঁজছেন এমন শিক্ষিত তরুণদের জন্য এটি এক বিশাল সুযোগ। বিশেষ করে যারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা রাখেন বা আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য এই প্রকল্প আশার আলো দেখাচ্ছে।

চন্দ্রবাবু নাইডুর দৃষ্টিভঙ্গি:
মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, “আমরা অন্ধ্রপ্রদেশকে প্রযুক্তি ও ইনোভেশনের হাব করে তুলতে চাই। রাজ্যের প্রতিটি প্রতিভাবান যুবক যাতে ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মানের চাকরি পান, সে জন্য আমরা এই ধরনের বিনিয়োগ আকর্ষণে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের দিক নয়, আইটি পার্ক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এবং টেকনোলজির পরিকাঠামো গড়ে তুলতেও সরকার একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে।

রাজ্যের আর্থিক দিক থেকে লাভ কী?
প্রত্যক্ষ রাজস্ব: কর ও জমির দীর্ঘমেয়াদি লিজ

পরোক্ষ সুবিধা: স্থানীয় হোটেল, আবাসন, পরিবহন, ফুড চেইনের চাহিদা বৃদ্ধি

মানবসম্পদ উন্নয়ন: কর্মীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে জোর

এই চুক্তি শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, বরং গোটা ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা। বেকারত্ব কমানো, ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং তরুণ সমাজকে কর্মমুখী করে তোলার পথে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে কগনিজেন্ট ও অন্ধ্র সরকারের এই যৌথ প্রচেষ্টাকে।