স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কেন্দ্রের কর মকুব! মমতার সাফল্য দেখছে তৃণমূল

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool) স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপিত কর প্রত্যাহারের ঘোষণাকে জনগণের জয় হিসেবে উদযাপন করছে। তৃণমূলের দাবি, এই…

Trinamool

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool) স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপিত কর প্রত্যাহারের ঘোষণাকে জনগণের জয় হিসেবে উদযাপন করছে। তৃণমূলের দাবি, এই সাফল্য এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিচল প্রতিবাদ এবং জনগণের পক্ষে তাঁর লড়াইয়ের ফলে।

প্রথম দিন থেকেই মমতা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে সতর্ক করে এসেছেন যে, স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর কর আরোপ করা অনৈতিক এবং জনবিরোধী। তিনি বলেছিলেন, এই কর পরিবারগুলিকে তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য বীমা করা থেকে নিরুৎসাহিত করবে এবং সঙ্কটকালে তাদের আর্থিক ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে।

   

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে, স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর আরোপিত ১৮% জিএসটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘোষণাকে তাদের নিরন্তর প্রতিবাদের ফল হিসেবে দেখছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ লিখেছেন, “এটি সাধারণ মানুষের জয়।

এই জয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে এমন একটি সরকারের কাছ থেকে, যারা কেবল তখনই শোনে যখন তাদের চাপে পড়তে হয়। মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই বলে আসছেন যে এই কর জনবিরোধী। আমরা সংসদে, রাস্তায় এবং জনগণের মধ্যে এই ধরনের প্রতিটি জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”

২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর ১৮% জিএসটি আরোপের ঘোষণা করা হয়েছিল, যা জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তকে “অমানবিক” এবং “নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি আঘাত” বলে সমালোচনা করেন। তিনি একাধিকবার অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই কর প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন।

Advertisements

তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা সংসদে এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান, এবং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জনসভার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়।এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে এই সাফল্যকে উদযাপন করছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, তারা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত রাখবে।

গাড়ি কিনতে হলে আজই শোরুমে যান, বিপুল কর চাপাচ্ছে মোদী সরকার

এই কর প্রত্যাহার সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য, যারা স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।