বিদেশে অপ্রকাশিত সম্পদ থাকতে পারে—এমন করদাতাদের ইমেল ও এসএমএসের মাধ্যমে সতর্ক করতে দ্বিতীয় NUDGE অভিযান শুরু করছে CBDT। এই কর্মসূচি ২৮ নভেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে রিটার্ন সংশোধনের সুযোগ দেবে।
AEOI বিশ্লেষণে ধরা পড়ল ঝুঁকিপূর্ণ করদাতা:
AEOI–এর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বহু করদাতা তাদের বিদেশি সম্পদের উল্লেখ ITR-এ করেননি। তাই এই সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষভাবে মেসেজ পাঠিয়ে রিটার্ন পর্যালোচনার অনুরোধ জানানো হবে।
প্রথম পর্যায়ে ২৫ হাজার মামলায় নজর:
CBDT সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম দফায় প্রায় ২৫,০০০ উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ করদাতাকে লক্ষ্য করা হবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে আরও বহু মামলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বড় কর্পোরেট সংস্থার সেইসব কর্মীও পর্যবেক্ষণে থাকবেন যাদের বিদেশি সম্পদ ঘোষণা করা হয়নি।
সচেতনতা বাড়াতে শিল্প সংগঠন ও ICAI-কে অনুরোধ:
করদাতাদের সচেতন করতে পেশাদার সংস্থা ICAI ও বিভিন্ন শিল্প সংগঠনকে প্রচারে যুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিদেশি সম্পদের সঠিক ঘোষণা সম্পর্কে বোঝানো যায়।
ব্ল্যাক মানি আইনে কঠোর জরিমানা:
বিদেশি সম্পদ গোপন রাখলে ব্ল্যাক মানি আইনে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা, ৩০% কর এবং করযোগ্য অঙ্কের ৩০০% পর্যন্ত পেনাল্টি ধার্য হতে পারে। জুন ২০২৫-এ বিভাগ ১,০৮০টি মামলার মূল্যায়ন করে প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকার চাহিদা নোটিশ পাঠিয়েছে।
CRS ও FATCA ডেটার ভিত্তিতে নজরদারি:
CRS ও FATCA তথ্য বিশ্লেষণ করে বিদেশে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ ও আয় শনাক্ত করা হয়। এই ডেটায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে করদাতার বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত শুরু হতে পারে।
প্রথম NUDGE অভিযানের সাফল্য:
২০২৪ সালে প্রথম NUDGE উদ্যোগে ২৪,৬৭৮ করদাতা রিটার্ন সংশোধন করেন এবং ২৯,২০৮ কোটি টাকার বিদেশি সম্পদ প্রকাশ্যে আসে। এই সফলতা আরও বিস্তৃত অভিযানে অনুপ্রাণিত করেছে CBDT-কে।
করদাতাদের করণীয়:
যাদের বিদেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, শেয়ার, বিনিয়োগ বা বিদেশ উৎসের আয় আছে, তাদের অবশ্যই ITR-এ সঠিক তথ্য দিতে হবে। ভুল বা বাদ পড়া তথ্য সংশোধনের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫। করদাতারা সময়মতো তথ্য সংশোধন না করলে কঠোর স্ক্রুটিনির মুখোমুখি হতে পারেন।
