আয়কর দফতরের কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) নতুন এক নির্দেশিকা জারি করেছে, যার ফলে বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (CPC) আরও বেশি প্রশাসনিক ক্ষমতা পেতে চলেছে। নতুন নিয়মটি ২০২৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে সিপিসি বেঙ্গালুরু সরাসরি কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ভুল বা ত্রুটি সংশোধন করতে পারবে—যেমন গণনায় ভুল, আগাম কর বা টিডিএস ক্রেডিট বাদ পড়া, বা রিফান্ডের হিসাবের ত্রুটি। এতদিন এই ধরনের সংশোধনের জন্য অন্য অফিসের অনুমোদনের প্রয়োজন হত, যা করদাতাদের রিফান্ড বা দাবির নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে ধীর করত। নতুন বিধির ফলে এখন সেই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও কার্যকরী হবে।
ভুল সংশোধনের ক্ষমতা:
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, সিপিসি বেঙ্গালুরু এখন আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা ১৫৪ অনুযায়ী এমন সব ভুল সংশোধন করতে পারবে যা রেকর্ড থেকেই স্পষ্ট। এর মধ্যে রয়েছে—
কর বা রিফান্ডের ভুল গণনা:
কোনো সেকশনের অধীনে প্রাপ্য কর রিলিফ বাদ পড়া,
অগ্রিম কর বা টিডিএস ক্রেডিট উপেক্ষা করা,
রিফান্ডের উপর ধারা ২৪৪এ অনুযায়ী সুদের ভুল হিসাব।
এই সংশোধনের ফলে যদি করযোগ্য অর্থ বা রিফান্ডের অঙ্কে পরিবর্তন হয়, তাহলে সিপিসি নিজেই নতুন দাবি (Demand Notice) বা রিফান্ড নোটিস জারি করতে পারবে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ:
অর্থ মন্ত্রকের ২৭ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেঙ্গালুরুর কমিশনার অব ইনকাম ট্যাক্স (CPC) চাইলে এই ক্ষমতা লিখিতভাবে অতিরিক্ত কমিশনার বা যৌথ কমিশনারদের মধ্যে বণ্টন করতে পারেন।
পরবর্তীতে, এই কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আয়কর মূল্যায়ন কর্মকর্তাদের (Assessing Officers) সেই ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতিও দিতে পারবেন।
প্রশাসনিক কার্যকারিতায় বড় পদক্ষেপ:
কর বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপে কর-প্রক্রিয়া আরও ডিজিটাল ও কেন্দ্রীভূতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তিযোগ্য হবে। অনেক সময় দেখা যায়, রিফান্ডের পরিমাণ বা দাবির অঙ্কে সামান্য ভুলের কারণে মামলার নিষ্পত্তি বিলম্বিত হয়। এখন থেকে সিপিসি সরাসরি সেসব ত্রুটি সংশোধন করতে পারবে, যা করদাতা ও দফতর—দুই পক্ষেরই সময় বাঁচাবে।
অর্থ মন্ত্রকের মতে, এই পদক্ষেপ আয়কর বিভাগের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বাড়াতে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা ভবিষ্যতে করদাতাদের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করবে।
