নতুন স্মার্টফোনের জন্য সহজ ইএমআই লোন, জানুন সুদের হার ও যোগ্যতা

Easy EMI Loans: আজকের দিনে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন কেনার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে।…

Buy New Smartphones on Easy EMI Loans

Easy EMI Loans: আজকের দিনে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন কেনার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। তবে, উচ্চমূল্যের স্মার্টফোন কেনা সবার পক্ষে এককালীন সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধানে এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সহজ ইএমআই (Equated Monthly Installment) লোন, যা আপনাকে ব্যাংক ব্যালেন্সের চিন্তা না করে পছন্দের স্মার্টফোন কিনতে সাহায্য করে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সহজ শর্তে এই লোন প্রদান করছে, যার মধ্যে কম সুদের হার এবং নমনীয় মেয়াদ উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিবেদনে আমরা ইএমআই লোনের সুদের হার, যোগ্যতার মানদণ্ড এবং এর সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ইএমআই লোনের সুবিধা
ইএমআই লোনের মাধ্যমে স্মার্টফোন কেনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। আপনাকে পুরো মূল্য একবারে দিতে হয় না; বরং ছোট ছোট কিস্তিতে কয়েক মাস ধরে পরিশোধ করা যায়। বাজাজ ফিনসার্ভ, টাটা ক্যাপিটাল, এইচডিএফসি ব্যাংক, এবং ফিবে-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ‘নো কস্ট ইএমআই’ অফার করে, যেখানে কোনো অতিরিক্ত সুদ দিতে হয় না। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ২০,০০০ টাকার একটি স্মার্টফোন ১২ মাসের নো কস্ট ইএমআই-তে কেনেন, তবে প্রতি মাসে ১,৬৬৭ টাকা করে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে শূন্য ডাউন পেমেন্টের সুবিধাও দেওয়া হয়, যা ক্রেতাদের জন্য আরও আকর্ষণীয়।

   

সুদের হার
ইএমআই লোনের সুদের হার প্রতিষ্ঠান এবং লোনের মেয়াদের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, নো কস্ট ইএমআই-তে কোনো সুদ থাকে না, তবে এই ক্ষেত্রে ফোনের মূল্য কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, সাধারণ ইএমআই লোনে সুদের হার ১০% থেকে ১৬% প্রতি বছর হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মানিভিউ লোন ১০% থেকে শুরু হয়, আর বাজাজ ফিনসার্ভ এবং ফিবে-এর মতো প্রতিষ্ঠানে ১১.৯৯% থেকে সুদের হার শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি বা অন্যান্য চার্জ যুক্ত হতে পারে, তাই লোন নেওয়ার আগে শর্তাবলী ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।

যোগ্যতার মানদণ্ড
ইএমআই লোন পাওয়ার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হয়:
• বয়স: ২১ থেকে ৬০ বছর (কিছু ক্ষেত্রে ৬৫ পর্যন্ত)।
• আয়: মেট্রো শহরে ন্যূনতম মাসিক আয় ১৮,০০০ টাকা এবং নন-মেট্রো শহরে ১৫,০০০ টাকা।
• ক্রেডিট স্কোর: ৬৫০ থেকে ৭৫০-এর উপরে সিবিল বা এক্সপেরিয়ান স্কোর।
• নথিপত্র: আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ঠিকানার প্রমাণ, এবং আয়ের প্রমাণ (বেতনভোগীদের জন্য স্যালারি স্লিপ বা আইটিআর)।
কিছু প্রতিষ্ঠান, যেমন ফিবে এবং টিভিএস ক্রেডিট, ক্রেডিট ইতিহাস ছাড়াও প্রথমবারের জন্য লোন প্রদান করে। এছাড়া, বাজাজ ফিনসার্ভ ইনস্টা ইএমআই কার্ড বা এইচডিএফসি ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সহজেই লোন নেওয়া যায়।

Advertisements

আবেদন প্রক্রিয়া
ইএমআই লোনের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং দ্রুত। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, বা ফিবে-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে পছন্দের ফোন নির্বাচন করে ইএমআই অপশন বেছে নিতে হয়। এরপর প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে এবং যোগ্যতা যাচাইয়ের পর তাৎক্ষণিক অনুমোদন পাওয়া যায়। এইচডিএফসি ব্যাংক এবং টাটা ক্যাপিটালের মতো প্রতিষ্ঠানে দোকানে গিয়েও লোনের জন্য আবেদন করা যায়, যেখানে মাত্র কয়েক মিনিটে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

সতর্কতা
ইএমআই লোন নেওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমত, নো কস্ট ইএমআই-এর ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সময়মতো কিস্তি পরিশোধ না করলে ক্রেডিট স্কোর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং জরিমানা দিতে হতে পারে। তাই, আর্থিক পরিকল্পনা করে লোন নেওয়া উচিত।

নতুন স্মার্টফোন কেনার জন্য ইএমআই লোন একটি সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী উপায়। সঠিক পরিকল্পনা এবং নির্ভরযোগ্য লোন প্রদানকারী নির্বাচন করলে আপনি সহজেই আপনার স্বপ্নের ফোনটি পেতে পারেন।