অন্তবর্তী বাজেট (Budget 2024) হলেও অগ্রাহ্য তো করা যায় না আসন্ন ভোটকে ৷ সরকারি সূত্রের খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখে বাজেটে মধ্যবিত্ত, বেতনভোগী মানুষের জন্য আয়কর কাঠামোয় সামান্য হলেও রদবদল হতে পারে। পুরনো কর কাঠামোয় ২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর থেকে সর্বনিম্ন হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়। সেটা ৫০,০০০ টাকা বাড়িয়ে তিন লক্ষ করার ভাবনা রয়েছে।
এতে বছরে ১২৫০ টাকা সাশ্রয় হবে৷ ৫.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। একই সঙ্গে পুরনো ও নতুন, দুই কর কাঠামোতেই ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’-এর পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০,০০০ টাকা করা হতে পারে।
লোকসভা ভোটের বছরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয় নির্বাচনের পরে ৷ তবে তার আগে কয়েক মাসে সরকারি খরচ ও কাজে যাতে বাধা না থাকে , তার জন্য নির্বাচনের আগে ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট’ বা অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়ে তাকে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটে বড় কোনও ঘোষণা হবে না। তবে গত লোকসভা ভোটের আগেও অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কাউকেই আয়কর দিতে হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বর্তমানে দু’টি আয়কর কাঠামো চালু রয়েছে। একটি পুরনো। অন্যটি নতুন। নতুন কর কাঠামোয় করের হার কম, কিন্তু নতুনে কোনও কর ছাড় মেলে না। পুরনোয় এখনও নানা ছাড় চালু রয়েছে। বিরোধীরা যখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হচ্ছে, তখন আয়করে ছাড় দিলে মধ্যবিত্ত বেতনভোগী মানুষের হাতে সামান্য হলেও নগদ অর্থ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
তাছাড়া মোদী সরকার গরিব মানুষের জন্য কোভিডের পরে নানা সুরাহার বন্দোবস্ত করলেও মধ্যবিত্ত কিছু পায়নি বলে বেতনভুক কর্মচারীদের একটা ক্ষোভ রয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের ধারণা আয়করে সামান্য কিছু ছাড় দিলে ভোটের আগে সেই ক্ষোভও প্রশমিত হতে পারে।