মালদার মহদিপুরে এখন পেঁয়াজের এমন দামী হ্রাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা নজিরবিহীন। এক কিলো পেঁয়াজের দাম মাত্র ২ টাকা! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই শহরে পেঁয়াজের দাম এমনভাবে কমেছে যে, স্থানীয়রা এবং আশেপাশের মানুষরা এটি নিয়ে চমকে উঠেছেন।
স্থানীয়দের মতে, ৫০ কিলোর একটি বস্তা পেঁয়াজ মাত্র ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ যুক্ত করলে কেজির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২২ টাকা। তবুও, মহদিপুরে রপ্তানিকারকরা কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজকে প্রায় জলের দামে বিক্রি করছেন।
মালদার খুচরো বাজারে সাধারণত পেঁয়াজের দাম ২০–২২ টাকা কেজি।এখানকার বাজারে পেঁয়াজের দাম এতটা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় বাজারে সরবরাহের চাপ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম হ্রাস পেয়েছে। স্থানীয় দোকানদার এবং সাধারণ ক্রেতারা এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন। অনেকেই বলছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের দামের জন্য চিন্তিত ছিলাম। মহদিপুরে এই হঠাৎ দাম কমার ফলে আমাদের উপকার হচ্ছে। এখন কেজি প্রতি মাত্র দু’টাকা খরচে পেঁয়াজ কিনতে পারছি।”
রপ্তানিকারকরা জানান, সাধারণত তারা বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতেন। সেখানে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় ব্যবসায়িক লাভ হতো। কিন্তু হঠাৎ করে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে, যার ফলে দাম নেমে এসেছে। কৃষক এবং বিক্রেতাদের জন্য এই পরিস্থিতি দ্বিমুখী প্রভাব ফেলছে। অন্যদিকে, সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি এক প্রকার স্বস্তির সংবাদ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মহদিপুরে এমন পরিস্থিতি কয়েক দিন ধরে চলছে এবং আশা করা হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে দাম আবার নিয়মিত পর্যায়ে ফিরে আসবে।
মহদিপুরে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় বাজারে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা একদিকে চিন্তিত, অন্যদিকে ক্রেতারা খুশি। কৃষকদের জন্য সমস্যা হলো, তারা উৎপাদিত পেঁয়াজ যথাযথ মুনাফায় বিক্রি করতে পারছেন না। তবে স্থানীয় বাজারে সাধারণ মানুষের স্বস্তি এবং খুশির উদ্রেক হওয়ায় সামগ্রিক পরিস্থিতি কিছুটা ব্যালান্সেড মনে হচ্ছে।
