ইলিশ হোক বা পাঙ্গাশ, মাছ উৎপাদনে শীর্ষে বাংলা

ভারতের মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং মাছের চারা বা মীন উৎপাদনে প্রথম (Fish) স্থান অধিকার করেও রাজ্যের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় মৎস্য-প্রাণিসম্পদ এবং পঞ্চায়েতিরাজমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন (লালন)…

Bengal Excels in Fisheries, But Registration Portal Remains a Key Concern

ভারতের মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং মাছের চারা বা মীন উৎপাদনে প্রথম (Fish) স্থান অধিকার করেও রাজ্যের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় মৎস্য-প্রাণিসম্পদ এবং পঞ্চায়েতিরাজমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন (লালন) সিং। শনিবার পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্য— পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।(Fish) 

রাজ্যে মাছ চাষে যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, তা মানলেও লালন(Fish) সিংহ স্পষ্ট জানান, “বাংলার আরও অনেক কিছু করার আছে। সম্ভাবনা প্রচুর, কিন্তু সেই সম্ভাবনার যথাযথ সদ্ব্যবহার এখনও হয়নি।” বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান-সহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মৎস্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।(Fish) 

   

বৈঠকে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প যেমন ‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY)’, ‘ব্লু রেভলিউশন’, এবং ই-নমের মাধ্যমে মাছের বাণিজ্য (Fish) প্রসারে উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, রাজ্যগুলিকে আরও প্রযুক্তিনির্ভর ও টেকসই মাছ চাষের দিকে এগোতে হবে। বাংলার ক্ষেত্রে আধুনিক মীন উৎপাদন কেন্দ্র, প্যাকেজিং, হিমায়িত সংরক্ষণ ও রপ্তানি পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গতি বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেন মন্ত্রী।(Fish) 

লালন সিং আরও বলেন, “বাংলা শুধু নিজে মাছ চাষে নয়, (Fish) সমগ্র পূর্ব ভারতের মৎস্য সম্ভাবনার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু তার জন্য আরও সংহত পরিকল্পনা ও সময়মতো প্রকল্প রূপায়ণ দরকার।” তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনেক অংশ রাজ্য সময়মতো রিপোর্ট না পাঠানো, বা প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে আটকে থাকে।(Fish) 

প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ানও বলেন, “টেকনোলজির ব্যবহার না হলে (Fish) আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের মাছ রপ্তানির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। রাজ্যগুলোকে জলাশয়ের বৈজ্ঞানিক ব্যবহার, জলের গুণমান নিয়ন্ত্রণ এবং জৈব মাছচাষে মনোযোগ দিতে হবে।”(Fish) 

Advertisements

বাংলা সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দাবি, “আমরা ইতিমধ্যেই ব্লক স্তরে মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ শিবির করছি। চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত বীজ, ওষুধ এবং সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আরও আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, রাজ্যে একাধিক হ্যাচারি ও ফিড মিল গড়ে উঠেছে, কিন্তু সেগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং রপ্তানির লক্ষ্যে মান বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।(Fish) 

এই বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয়ের অভাব। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পরামর্শ দেন, প্রত্যেক রাজ্য যেন এক জন ‘নোডাল অফিসার’ নিযুক্ত করে যিনি শুধু কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির রূপায়ণ এবং রিপোর্টিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও গতি আসবে।

সব মিলিয়ে, বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বার্তা ছিল স্পষ্ট— বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে মৎস্য ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সেগুলিকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে গেলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর ও প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার জরুরি। বাংলা ইতিমধ্যেই ভালো করছে, কিন্তু কেন্দ্র চাইছে আরও দ্রুত ও আধুনিক পদক্ষেপে এগিয়ে যাক রাজ্য।

এই আলোচনার পর আগামী দিনে রাজ্য মৎস্য দফতরের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।