ঋণের চাহিদা বাড়ছে অথচ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের জোগান। ফলে উদ্বেগ বাড়িয়ে নগদের সঙ্কট (Liquidity Crisis) দেখা দিয়েছে ব্যাঙ্কে ৷ সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরই পরিসংখ্যানে সেই ছবি উঠে এসেছে। এখন ঋণ সরবরাহ বাড়াতে না পারলে ধাক্কা খাবে শিল্প বৃদ্ধি। প্রভাব পড়বে জিডিপি বৃদ্ধির হারে। যদিও কারও কারও মতে ব্যাঙ্কের এই নগদের সঙ্কট সাময়িক ৷
ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের হাতে পুঁজির জোগানে টান পড়েছে ৷ এদিকে সাধারণ মানুষদের আমানত টাকার উপর নির্ভর করতে হয় সেহেতু এই পরিস্থিতিতে সুদের হার বাড়িয়ে তহবিল টানার চেষ্টা করবে ব্যাঙ্কগুলি ৷ অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে জমা টাকায় সুদের হার বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, এ ভাবে দ্রুত নগদের অভাব মেটাতে গিয়ে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়ালে তখন মূল্যবৃদ্ধিতে তার প্রভাব পড়তে পারে ৷ ফলে আমানতে সুদ বৃদ্ধির জন্য সতর্ক থাকা উচিত বলে অভিমত কারও কারও ৷
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কেরই হিসাব অনুসারে, ২৩ জানুয়ারিতে ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের ঘাটতি ৩.৪ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছয়। যা এ মাসের শুরুতে থাকা ঘাটতির অঙ্কের তিন গুণ। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্যা মেটাতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে পদক্ষেপ করতে হতে পারে ৷ পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে ঋণের চাহিদা। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার রিপোর্ট জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে গড়ে ব্যাঙ্কগুলিতে ১৫% হারে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তারফলে তা পৌঁছতে পারে ২০-২১ লক্ষ কোটি টাকায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এত চাহিদা মেটানোর পুঁজি কোথা থেকে আসবে।