ভারতের বাজারে জনপ্রিয় স্পোর্টস বাইক Yamaha R15 ১০ লাখ ইউনিট উৎপাদনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এই মোটরসাইকেলটি ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ করে এবং এর পর থেকে এটি ক্রমাগত ক্রেতার সংখ্যা বাড়িয়েই গিয়েছে। সম্প্রতি, ১০ লাখ তম ইউনিটটি সংস্থার সুরজপুর প্ল্যান্ট থেকে রোলআউট করার খবর প্রকাশ করেছে সংস্থা। ইয়ামাহার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, উৎপাদিত মোট ইউনিটের ৯০ শতাংশই ভারতীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে।
ইয়ামাহা আরও জানায়, R15 শুধু ভারতীয় বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও কোম্পানির উপস্থিতি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান ইতারু ওতানি বলেছেন, “R15-এর প্রতিটি নতুন আপগ্রেডের সঙ্গে আমরা রাইডিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও পারফরম্যান্স মোটরসাইকেলিং-এর ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে ইয়ামাহা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”
Yamaha R15: এক নজরে বিবর্তন
২০০৮ সালে Yamaha R15 প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি ছিল লিকুইড-কুলড ইঞ্জিন, DiASil সিলিন্ডার ও Deltabox ফ্রেম সমৃদ্ধ প্রথম মোটরসাইকেল, যা পারফরম্যান্স এবং হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মান তৈরি করে। পরে, ২০১১ সালে Yamaha R15 V2.0 উন্মোচন করা হয়, যেখানে নতুন বডি ডিজাইন, অ্যালুমিনিয়াম সুইং-আর্ম এবং আরও আক্রমণাত্মক রাইডিং স্টান্স যুক্ত করা হয়।
বর্তমানে, ইয়ামাহা R15 V4 এবং R15S নামে দুটি আলাদা মডেল বাজারে বিক্রি করছে। ২০২৩ সালে এই দুই মডেলেই আপডেট আনা হয়। R15 V4-এ নতুন ইন্টেনসিটি হোয়াইট রঙের বিকল্প এবং কুইক-শিফটার যুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, R15S নতুন এলসিডি ডিসপ্লে পেয়েছে। দুটি বাইকই OBD2 নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেড করা হয়েছে।
ইঞ্জিন এবং পারফরম্যান্স
ইয়ামাহার R15 V4, R15S এবং MT-15 V2 একই ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এগুলোতে ১৫৫ সিসির লিকুইড-কুলড ইঞ্জিন রয়েছে, যা ফুয়েল ইনজেকশন ও ভেরিয়েবল ভালভ অ্যাকচুয়েশন (VVA) প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এই ইঞ্জিন ১০,০০০ RPM-এ ১৮.১৪ বিএইচপি শক্তি এবং ৭,৫০০ RPM-এ ১৪.২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এছাড়াও, এতে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ সংযোজিত রয়েছে।
বর্তমানে, Yamaha R15 V4-এর দাম শুরু হয় ১.৮৪ লাখ (এক্স-শোরুম) থেকে, এবং এর সর্বোচ্চ মূল্য ২.১১ লাখ। অন্যদিকে, Yamaha R15S একমাত্র একটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়, যার মূল্য ₹১.৬৭ লাখ (এক্স-শোরুম)। প্রসঙ্গত, ইয়ামাহার R15 সিরিজ দীর্ঘদিন ধরেই স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় একটি মডেল এবং ১০ লাখ ইউনিট উৎপাদনের এই মাইলফলক ভারতে ইয়ামাহার সাফল্যের আরও একটি বড় প্রমাণ।
