টাটা মোটরস তাদের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত SUV-এর প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে – Tata Sierra। হ্যারিয়ার ইভির পর এটি হতে চলেছে ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ SUV, যা ভারতীয় গাড়ি প্রেমীদের কাছে একটি আবেগঘন নাম। এ বছরের শুরুতে ভারত মোবিলিটি এক্সপো-তে সিয়েরার কনসেপ্ট ভার্সন দেখানো হলেও, তা এখনও লঞ্চ হয়নি। তবে এবারে মডেলটির প্রোডাকশন-রেডি ভার্সন রাস্তায় টেস্টিংয়ে দেখা গিয়েছে।
Tata Sierra-র ডিজাইনে নস্টালজিয়া
মুম্বাইয়ের রাস্তায় ধরা পড়া টেস্টিং মডেলটি যদিও ভারী ক্যামোফ্লেজে ঢাকা ছিল, তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন এলিমেন্ট চোখে পড়েছে যা ১৯৯০-এর দশকের আইকনিক সিয়েরার স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। এর মধ্যে রয়েছে সোজা ও উঁচু বোনেট, চওড়া ফ্রন্ট ফ্যাসিয়া, চৌকো পেছনের ডিজাইন, ফ্ল্যাট টেইলগেট এবং সিগনেচার কোয়ার্টার-গ্লাস প্যানেল। এছাড়াও নতুন সিয়েরায় দেখা গিয়েছে ফ্লাশ-ফিটিং ইলুমিনেটেড ডোর হ্যান্ডেল, ওয়াইড রিয়ার স্পয়লার, শার্ক-ফিন অ্যান্টেনা এবং ফ্রন্ট বাম্পারে ইন্টিগ্রেটেড ADAS মডিউল, যা একে আধুনিক প্রিমিয়াম SUV-এর স্বাদ দেবে।
প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়র ও ফিচার
টাটা সিয়েরার কেবিনেও আসছে আধুনিক আপগ্রেড। আশা করা হচ্ছে SUV-টিতে দেওয়া হবে হরাইজন্টালি ওরিয়েন্টেড টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, যেখানে থাকবে কানেক্টেড কার টেক, ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো ও অ্যাপল কারপ্লে। পাশাপাশি থাকবে পুশ-স্টার্ট বোতাম, ফ্লোটিং সেন্টার কনসোল, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট এবং ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা।
টেস্ট মুলে স্টার্ট বোতামের নিচে একটি রোটারি ডায়াল দেখা গিয়েছে, যার ফাংশন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এক্সপো ভার্সনে প্যাসেঞ্জার সাইডে একটি সেকেন্ডারি ডিসপ্লে ছিল, তবে প্রোডাকশন মডেলে এটি থাকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। এছাড়া নতুন সিয়েরায় থাকবে প্যানোরামিক সানরুফ এবং পূর্ণ ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম।
একাধিক ইঞ্জিন ও পাওয়ারট্রেন বিকল্প
টাটা সিয়েরা বাজারে আসবে ইলেকট্রিক এবং ICE (ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন) – দুই ভার্সনেই। ইভি ভার্সন একবার চার্জে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। পেট্রোল ও ডিজেল ক্রেতাদের জন্য থাকবে দুটি অপশন – ২.০-লিটার ক্রায়োটেক ডিজেল ইঞ্জিন এবং ১.৫-লিটার TGDi টার্বো-পেট্রোল ইউনিট, যেখানে ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক – দুই ধরনের গিয়ারবক্স পাওয়া যাবে।
Tata Sierra প্রত্যাবর্তন শুধু একটি নতুন গাড়ির লঞ্চ নয়, এটি টাটা মোটরসের জন্য একটি আবেগঘন মুহূর্ত। মডেলটি ব্র্যান্ডকে প্রিমিয়াম SUV সেগমেন্টে আরও শক্ত অবস্থানে দিতে সাহায্য করবে। পুরনো নস্টালজিক ডিজাইন, আধুনিক প্রযুক্তি ও একাধিক পাওয়ারট্রেন অপশন – এই তিনের মিশ্রণে সিয়েরা হতে পারে ২০২৫ সালের অন্যতম বড় অটোমোবাইল লঞ্চ।