ভারতে আসছে Renault Kwid EV, টেস্টিংয়ে ধরা দিল ব্যাটারি মডেল

ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে প্রবেশ করতে দেরি করলেও, এবার Renault কোমর বেঁধেছে। কোম্পানি ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি নতুন Renault মডেল পরীক্ষার…

Renault Kwid EV spotted

ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে প্রবেশ করতে দেরি করলেও, এবার Renault কোমর বেঁধেছে। কোম্পানি ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি নতুন Renault মডেল পরীক্ষার সময় ধরা পড়েছে, যা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় এটি আসন্ন Renault Kwid EV। এই টেস্ট মডেলটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, গাড়িটি এখন প্রায় প্রোডাকশন-রেডি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisements

Renault Kwid EV: ডিজাইনে নতুনত্ব

Renault-এর এই নতুন ইলেকট্রিক গাড়ির নকশা বর্তমান আইসিই (পেট্রোল) সংস্করণের তুলনায় একেবারেই নতুন মাত্রা পেয়েছে। সামনে রয়েছে বন্ধ গ্রিলসহ নতুন Renault লোগো, যা ইলেকট্রিক গাড়ির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে এলইডি ডে-টাইম রানিং লাইট এবং হ্যালোজেন প্রজেক্টর হেডল্যাম্প। এর পাশাপাশি দেখা গেছে রুফ স্পয়লার এবং নতুন ওয়াই-আকৃতির টেইললাইট ডিজাইন, যা Kwid EV-কে আরও স্পোর্টি ও আধুনিক লুক দিয়েছে।

   

সাইড প্রোফাইলে বর্তমান Kwid-এর মতোই স্কোয়ার্ড-অফ হুইল আর্চ, বডি ক্ল্যাডিং এবং ঐতিহ্যবাহী ডোর হ্যান্ডল ডিজাইন বজায় রাখা হয়েছে। তবে টেস্ট মিউলটিতে এক্সহস্ট সিস্টেমের অনুপস্থিতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রিক সংস্করণ।

কেবিনে আধুনিক প্রযুক্তি

Kwid EV-এর কেবিনও পেয়েছে সম্পূর্ণ নতুন রূপ। নতুন স্টিয়ারিং হুইল, বড় ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং উন্নত ইউজার ইন্টারফেসসহ নতুন টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এখানে মূল আকর্ষণ।

আরাম ও সুবিধার দিক থেকেও Kwid EV বেশ সমৃদ্ধ। গাড়িটিতে থাকছে লেদারেট সিট, উচ্চতা-সমন্বয়যোগ্য ড্রাইভার সিট, ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং রিয়ার সেন্টার আর্মরেস্ট। ইউরোপীয় সংস্করণ Dacia Spring EV-তে লেভেল-১ এডিএএস (ADAS) প্রযুক্তি থাকলেও, ভারতীয় সংস্করণে এটি যুক্ত হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

পারফরম্যান্স ও রেঞ্জ

Kwid EV মূলত Dacia Spring EV-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি, এবং এতে একই রকম মোটর ও ব্যাটারি সেটআপ দেখা যাবে। গাড়িটিতে থাকবে দুইটি ইলেকট্রিক মোটর বিকল্প — একটি ৩৩ কিলোওয়াট (৪৫ বিএইচপি) ও অন্যটি ৪৮ কিলোওয়াট (৬৫ বিএইচপি) ক্ষমতার। উভয় ভ্যারিয়েন্টেই ব্যবহৃত হবে ২৬.৮ কিলোওয়াট-ঘণ্টা ক্ষমতার ব্যাটারি, যা একবার চার্জে সর্বোচ্চ ৩০৪ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে সক্ষম।

এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, Kwid EV ভারতের শহুরে যাতায়াতের জন্য একটি কার্যকর ও সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে। Renault যদি প্রতিযোগিতামূলক দামে এটি বাজারে আনে, তাহলে এটি Tata Tiago EV ও MG Comet EV-এর মতো মডেলের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে।

দীর্ঘদিন ধরে Renault ভারতের ইলেকট্রিক সেগমেন্টে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এবার চেন্নাইয়ের এই টেস্ট মিউল দেখিয়ে দিল, সেই প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে খুব শিগগিরই। সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইন, উন্নত ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন এবং আধুনিক ফিচারে সজ্জিত Renault Kwid EV যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লঞ্চ হয়, তাহলে এটি ভারতের বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ির নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।