আবক্ষ জলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই দেশীয় ইলেকট্রিক স্কুটার

বর্ষায় বৃষ্টির দাপট ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ রাজ্যেই দিনরাত চলছে ঝাপিয়ে বৃষ্টি। ফলে শহর হোক বা গ্রাম, প্লাবিত হচ্ছে মাইলের পর মাইল। সবচেয়ে…

Ola-S1-Pro

বর্ষায় বৃষ্টির দাপট ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ রাজ্যেই দিনরাত চলছে ঝাপিয়ে বৃষ্টি। ফলে শহর হোক বা গ্রাম, প্লাবিত হচ্ছে মাইলের পর মাইল। সবচেয়ে বড় কথা, এইসময় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যানবাহন। গাড়ির সাইলেন্সারে জল ঢুকে ঘটছে বিপত্তি। আসলে ইঞ্জিনে জল পৌঁছানোর কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। তবে বর্ষার জমা জলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ইলেকট্রিক স্কুটার। নাম কী শুনবেন?

BMW: নীলের সঙ্গে মিষ্টি লাল রঙে লঞ্চ হল বিএমডব্লিউ-র অন্যতম সস্তার বাইক, রইল খুঁটিনাটি

   

এটি হচ্ছে দেশের সর্বাধিক বিক্রিত বৈদ্যুতিক স্কুটার ওলা ইলেকট্রিকের (Ola Electric) ফ্ল্যাগশিপ মডেল – ওলা এস১ প্রো (Ola S1 Pro)। সম্পূর্ণ জলরোধী ব্যবস্থা থাকার জন্য মডেলটি বুক অব্ধি জমা জলকেও পরোয়া করে না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। এদিকে বর্তমানে দেশে জলে ডুবে মারা যাওয়ার অনেক ঘটনা ঘটছে। সেগুলির মধ্যে কয়েকটির ভিডিও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কিন্তু ওলা এস১ প্রো যেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

গত বছর, ৩১ মার্চ, Aki D Hot Pistonz নামের এক ইউটিউব চ্যানেল থেকে সমুদ্রের জলে ওলা এস১ প্রো চালানোর ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। এক ব্যক্তি তাঁর স্কুটারটি সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেন। এক সময় স্কুটারটি সম্পূর্ণ জলে নিমজ্জিত হতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওটি দেখে সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়ত সেটির আয়ুষ্কাল শেষ। কিন্তু সকলের সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দেয় মডেলটি। অনায়াসেই জল থেকে আবার পাড়ে ফিরে আসে। যা দেখে তাজ্জব হয় অসংখ্য নেটিজেন। 

সবচেয়ে বড় বিষয়, জল থেকে ওঠার পর ওলা এস১ প্রো মডেলটির হর্ন ও ইন্ডিকেটর ঠিকঠাক কাজ করছিল। হাইপার মোডে এর গতি আগের মতোই বাড়ানো যাচ্ছিল। এর স্পিকারগুলিও কর্মক্ষম ছিল। আবার চার্জিং প্লাগের ভিতরে এক ফোঁটাও জল আসেনি। চলুন ওলা এস১ প্রো-এর বৈশিষ্ট্য জেনে নেওয়া যাক।

Ola S1 Pro-এর রেঞ্জ এবং বৈশিষ্ট্য

ওলা এস১ প্রো-এর (Ola S1 Pro) দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেল বাজারে এসেছে। মডেলটি ১২টি ভিন্ন রঙের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। এটি প্রতি ঘন্টায় ০-৪০ কিমি গতিবেগ ২.৯ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১১৬ কিমি। একই সময়ে, এটি ফুল চার্জে ১৮১ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়। এতে একটি ৭-ইঞ্চি TFT ডিসপ্লে রয়েছে, যা চার্জিং এবং রাইডিং সম্পর্কিত বহু বিবরণ প্রদান করে। এই মডেলের হার্ডওয়্যারে একটি টিউবুলার ফ্রেম ও রিয়ার মনোশক বর্তমান। এতে উপস্থিত একটি ২২০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং একটি ১৮০ মিমি রিয়ার ডিস্ক ব্রেক। এর দাম ৯৯,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু করে ১,৩৩,৯৯৯ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে।