KTM 390 Adventure বাজার তুলকালাম করতে চার ভ্যারিয়েন্টে আসছে, বিশেষত্ব কী!

কেটিএম-এর (KTM) বাইক মানেই তরুণ প্রজন্মের ‘ক্রাশ’! তাও যদি হয় অ্যাডভেঞ্চার মডেল, তবে তো কথাই নেই। বর্তমানে কেটিএম ৩৯০ অ্যাডভেঞ্চার (KTM 390 Adventure) বাইকের নতুন…

KTM 390 Adventure will come with 4 variants

কেটিএম-এর (KTM) বাইক মানেই তরুণ প্রজন্মের ‘ক্রাশ’! তাও যদি হয় অ্যাডভেঞ্চার মডেল, তবে তো কথাই নেই। বর্তমানে কেটিএম ৩৯০ অ্যাডভেঞ্চার (KTM 390 Adventure) বাইকের নতুন প্রজন্মের মডেলটির ভারত ও ইউরোপের রাস্তায় টেস্টিং চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোটরসাইকেলটির ‘অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এনডুরো’ এই দুই ভার্সনের মহরা চালাতে দেখা গিয়েছে। সূত্র দাবি, মডেলটির নয়া ভার্সন চারটি ভ্যারিয়েন্টে ভারতের বাজারে লঞ্চ করা হবে।

‘অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এনডুরো’ ছাড়াও 390 Adventure-এর একটি টুরিং এবং একটি এন্ট্রি লেভেল ‘X’ ভার্সন আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে কেটিএম। তবে এগুলির প্রতিটি একসঙ্গে লঞ্চ করা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। একে একে বাজারে আনা হবে মডেলগুলি। জানা গিয়েছে, সর্বপ্রথম অ্যাডভেঞ্চার ও টুরিং মডেলটি হাজির করা হবে। 

   

যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন নিশ্চিত বার্তা এসে পৌঁছায়নি। 390 Adventure X-এর লঞ্চের বিষয়টিও ধোঁয়াশাবৃত রয়েছে। বাজারে এর প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে Royal Enfield Himalayan 450-এর বেস ভ্যারিয়েন্ট। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২.৮৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। অনুমান করা হচ্ছে, KTM 390 Adventure Enduro ২০২৫-এ বাজারে আসতে পারে।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই ভ্যারিয়েন্টগুলি একে অপরের থেকে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে কতটা আলাদা হবে? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, 390 Adventure X-এ থাকছে বেসিক সাসপেনশন সেটআপ। এতে কিছু বৈদ্যুতিন ফিচারের অনুপস্থিতি নজরে পড়তে পারে। আবার এর টুরিং ভার্সনে থাকবে ১৯/১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল এবং সম্ভবত নন-অ্যাডজাস্টেবল সেটআপ। 

ফ্লিপকার্ট দিচ্ছে অফার, বিপুল ছাড়ে কিনুন এই তিন সেরা ইলেকট্রিক স্কুটার

অন্যদিকে অফ-রোড ফোকাস্ড অ্যাডভেঞ্চার এবং এনডুরো ভ্যারিয়েন্টে ২১/১৮ ইঞ্চি ওয়্যার-স্পোক হুইলের দেখা মিলবে। আবার দু’দিকে অ্যাডজাস্টেবল সাসপেনশন দেওয়া হবে। এনডুরো-তে থাকবে বিকিনি ফেয়ারিং এবং ফ্ল্যাটার সিট। 2025 KTM 390 Adventure-এর প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টে দেওয়া হবে একটি ৩৯৯ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ৪৫.৩৭ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ৩৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ২০২৫ থেকে এগুলি একে একে বাজারে লঞ্চ করবে বলেই খবর।