ভারতের দুই চাকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে হোন্ডা। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে হোন্ডা শাইন ইলেকট্রিক (Honda Shine Electric) বাইকের পেটেন্ট ইমেজ। এই ছবিগুলিতে বাইকের ডিজাইন এবং প্রযুক্তিগত কাঠামোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। চলুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।
পুরনো প্ল্যাটফর্মেই তৈরি হচ্ছে নতুন Honda Shine Electric
পেটেন্ট ছবিতে দেখা গিয়েছে, হোন্ডা নতুন কোনো সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি না করে তাদের বিদ্যমান Shine 100 চ্যাসিসেই ইলেকট্রিক ভার্সনটি নির্মাণ করছে। এর ফলে উৎপাদন খরচ ও সময় দুই-ই কমবে, এবং গ্রাহকদের জন্য বাইকটি প্রতিযোগিতামূলক দামে বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, Honda Shine Electric বাইকে আইসিই (Internal Combustion Engine) ইঞ্জিনের পরিবর্তে রয়েছে একটি ইলেকট্রিক মোটর। তার উপরে দুইটি রিমুভেবল বা খোলা যায় এমন ব্যাটারি প্যাক রাখা হয়েছে। যেগুলি একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসানো হয়েছে। ব্যাটারিগুলির পেছনে রয়েছে একটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট (ECU), যার সামনে-পেছনে একটি ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে কুলিং বা শীতলীকরণের সুবিধার জন্য।
Shine-এর সাইকেল পার্টসই থাকবে ইলেকট্রিক ভার্সনে
হোন্ডা শাইন ইলেকট্রিক বাইকে মূলত Shine 100-এর অনেক যন্ত্রাংশই ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন হেডলাইট, সাসপেনশন, হ্যান্ডেলবার, সিট এবং চাকা। এর ফলে বাইকের চেহারা অনেকটাই পরিচিত হবে গ্রাহকদের কাছে। এটি এক ধরনের স্ট্র্যাটেজি, যাতে করে হোন্ডা তাদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ভ্যালু বজায় রাখতে পারে এবং খরচও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রাত পোহালেই ভারতে লঞ্চ হচ্ছে MG M9 ইলেকট্রিক MPV, দাম হতে পারে প্রায় ৬৫ লাখ
Honda Shine Electric কবে নাগাদ বাজারে আসবে, সে বিষয়ে এখনও কোম্পানির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হোন্ডা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি লঞ্চ করতে পারে। বর্তমানে জাপানি এই সংস্থা ভারতের বাজেট ই-দুই চাকা বাজারে অন্যান্য কোম্পানির গতিবিধির দিকে নজর রাখছে। সেই অনুযায়ী, তারা সঠিক সময় বুঝে লঞ্চ করতে চায় Shine Electric মডেলটি।
প্রসঙ্গত, বলার আপেক্ষা রাখে না যে, ভারতের মতো একটি দ্রুত বর্ধনশীল ইভি বাজারে, হোন্ডার মতো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের প্রবেশ নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং সাধারণ গ্রাহকদের জন্য আরও ভরসাযোগ্য ইলেকট্রিক বাইক বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।