Hero Xtreme 250R সম্প্রতি ভারতের টু হুইলারের বাজারে লঞ্চ হয়েছে। এবারে এই বাইক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। সংস্থা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রেতারা বাইকটির বুকিং করতে পারবেন। আবার মার্চ মাস থেকে ডেলিভারি আরম্ভ বলে জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। যাই হোক, Xtreme 250R ১.৮০ লাখ টাকা এক্স-শোরুম মূল্যে লঞ্চ হয়েছে। নতুন ডিজাইন, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্য সহ এটি বাজারে প্রবেশ করেছে।
বাজারে এল Royal Enfield Scram 440, যেমন শক্তিশালী, তেমনই স্টাইলিশ!
Hero Xtreme 250R: ফেব্রিয়ারি থেকে বুকিং চালু হচ্ছে
Hero Xtreme 250R-এর নকশা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ও আধুনিক। এতে লো-স্লাঙ্গ হেডলাইট, শার্প এক্সটেনশন সহ ভাস্কর্যসমৃদ্ধ জ্বালানি ট্যাঙ্ক এবং উঁচু টেইল সেকশন রয়েছে। যা একে আরও গতিশীল ও আকর্ষণীয় চেহারা প্রদান করে। কালো ও লাল রঙে বাইকটি প্রদর্শিত হয়েছে, তবে বাজারে আরও রঙের বিকল্প পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এক্সট্রিম ২৫০আর-এ ২৫০ সিসি, তরল শীতলীকৃত, ডিওএইচসি, চার-ভালভ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছে, যা একটি ছয়-গতির সংক্রমণ ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই ইঞ্জিনটি ৩০ বিএইচপি শক্তি ও ২৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। বাইকটি শূন্য থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে পারে মাত্র ৩.২৫ সেকেন্ডে, যা পারফরম্যান্সের দিক থেকে চমকপ্রদ। একই ইঞ্জিনটি হিরো করিজমা ২৫০ মডেলেও ব্যবহৃত হবে।
বাইকটির সামনে ৪৩ মিমি উল্টো-নামানো কাঁটা (আপসাইড-ডাউন ফর্ক) এবং পেছনে প্রীলোড-নিয়ন্ত্রিত একক ধাক্কা নিরোধক (মোনোশক) দেওয়া হয়েছে, যা উন্নত সাসপেনশন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এটি ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় চাকা-তে চলে, যা গতির সাথে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিরাপত্তার জন্য বাইকটিতে অ্যান্টি-লক নিরোধক ব্যবস্থা (এবিএস) রয়েছে, যা যাত্রার সময় ব্রেকিংকে আরও কার্যকরী করে তোলে।
Hero Xtreme 250R বাজারে Bajaj Pulsar N250 এবং Suzuki Gixxer 250-এর মতো শক্তিশালী মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নতুন এই বাইকটি তার উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক ফিচার এবং উচ্চ কর্মক্ষমতার জন্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারে। হিরো মোটোকর্প এই বাইকের মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করার পরিকল্পনা করেছে।
হিরো এক্সট্রিম ২৫০আর-এ আধুনিক প্রযুক্তির ইঞ্জিন, শক্তিশালী গতিশক্তি, উন্নত সাসপেনশন এবং স্টাইলিশ ডিজাইন যুক্ত থাকায় এটি স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের জন্য একটি দারুণ বিকল্প হতে চলেছে। আকর্ষণীয় মূল্য নির্ধারণের ফলে এটি প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। বাজাজ ও সুজুকির মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, হিরোর নতুন এই মডেলটি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়!
