Ducati Desert X Discovery এবং Panigale V4 7th Generation লঞ্চের মাধ্যমে ২০২৫ সাল শুরু করবে ডুকাটি। এ খবর আগেই জানা গিয়েছিল। এবারে সেই জল্পনায় সিলমোহর দিল খোদ সংস্থা। Desert X Discovery-র বুকিং গ্রহণ শুরু করল। বেশ কিছুদিন ধরে ডুকাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বাইকের টিজার প্রকাশ করছিল। আর এবার আনুষ্ঠানিক বুকিং চালু হওয়ায় বাইকটির লঞ্চ খুব শীঘ্রই হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারতীয় বাজারে এই বাইক একটি প্রিমিয়াম অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার বাইক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।
Ducati Desert X Discovery খুঁটিনাটি
নকশার দিক থেকে Desert X Discovery দেখতে স্ট্যান্ডার্ড Desert X-এর মতোই। তবে এখানে নতুন কালো-লাল (Black & Red) পেইন্ট স্কিম ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাইকটির লুককে আরও বেশি আগ্রাসী ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এছাড়াও, এই নতুন সংস্করণে হার্ড-কেস প্যানিয়ার (সাইড ল্যাগেজ), ইঞ্জিন কেসিং প্রোটেকশন এবং বড় আকারের বেলি গার্ড যুক্ত করা হয়েছে। যা লং ড্রাইভ ও অফ-রোডিং অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বাড়তি সুবিধা দেবে।
Desert X Discovery-এর পারফরম্যান্স সেগমেন্টেও বেশ শক্তিশালী। এটি চালিত হচ্ছে ৯৩৭সিসি L-Twin ইঞ্জিনের মাধ্যমে, যা ৯,২৫০ আরপিএম গতিতে ১০৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৯২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এই ইঞ্জিনের সঙ্গে ছয়-গতির (6-speed) গিয়ারবক্স যুক্ত রয়েছে এবং এতে বাই-ডিরেকশনাল কুইকশিফ্টার-এর সুবিধাও রয়েছে। যা ক্লাচ ব্যবহার না করেই সহজে গিয়ার পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
ডুকাটি তাদের Desert X Discovery-তে একাধিক অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক রাইডার অ্যাসিস্ট যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রাইড মোড, পাওয়ার মোড, হুইলি কন্ট্রোল, ইঞ্জিন ব্রেক কন্ট্রোল, ক্রুজ কন্ট্রোল, হিটেড গ্রিপস এবং টিএফটি ডিসপ্লে অন্যতম। বাইকটির ডিসপ্লে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করবে, যা নেভিগেশন ও অন্যান্য স্মার্ট ফিচার ব্যবহারে সহায়ক হবে।
Desert X Discovery-এর হার্ডওয়্যারের মধ্যে ৪৫ মিমি সম্পূর্ণরূপে অ্যাডজাস্টেবল ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক এবং KYB সম্পূর্ণরূপে অ্যাডজাস্টেবল মনোশক ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাইডিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। ব্রেকিং সিস্টেমেও উন্নতি করা হয়েছে, যেখানে সামনে ৩২০ মিমি ডুয়েল ডিস্ক এবং পেছনে ২৬৫ মিমি সিঙ্গেল ডিস্ক রয়েছে। বাইকটি ২১-ইঞ্চির ফ্রন্ট স্পোক হুইল এবং ১৮-ইঞ্চির রিয়ার স্পোক হুইল-এর উপর চলে, যা অফ-রোডিং অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আদর্শ।
Ducati Desert X Discovery-এর দাম নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে ভারতে এক্স-শোরুম মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা (দিল্লি) হতে পারে। এই উচ্চমূল্যের কারণ হচ্ছে এর প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার, উন্নত টেকনোলজি ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিং সক্ষমতা। লঞ্চের তারিখ এখনো স্পষ্ট না হলেও, বুকিং শুরু হয়ে যাওয়ায় আশা করা হচ্ছে যে ডুকাটি খুব শীঘ্রই এই বাইকটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করবে।