বাজেটে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমার ইঙ্গিত, কীভাবে জানেন?

২০২৫ সালের প্রথম পূর্ণ বাজেট (Budget 2025) ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেটে ইলেকট্রিক ভেহিকলের (EV) দাম তাৎপর্যপূর্ণ হারে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন…

electric car price reduction in budget 2025

short-samachar

২০২৫ সালের প্রথম পূর্ণ বাজেট (Budget 2025) ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেটে ইলেকট্রিক ভেহিকলের (EV) দাম তাৎপর্যপূর্ণ হারে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন শুনবেন? আসলে গাড়ির ব্যাটারি নির্মাণে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ খনিজপদার্থগুলির উপর বেসিক কাস্টমস ডিউটি (BCD) মকুবের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই পদক্ষেপের আওতায় কোবাল্ট পাউডার, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বর্জ্য-স্ক্র্যাপ, সীসা, জিঙ্ক এবং আরও বারোটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজপদার্থের ওপর শুল্ক মকুব করা হবে। তদুপরি, ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য সরঞ্জামের আমদানির শুল্ক হ্রাসের কথাও জানিয়েছেন, যা ব্যাটারি উৎপাদন খরচ কমিয়ে EV গাড়ির দাম হ্রাসে সহায়ক হবে।

   

বাজেটে (Budget 2025) বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমার ইঙ্গিত

এই পদক্ষেপটি EV ব্যাটারি উৎপাদন ক্ষেত্রে স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য এক বিশাল প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। টাটা মোটরস, ওলা ইলেকট্রিক, Log9 Materials, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজসহ আরও অনেক কোম্পানি ভারতে ব্যাটারি ও ব্যাটারি সেল উৎপাদনের কাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। স্থানীয় উৎপাদনের ফলে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং এভাবে ব্যাটারি নির্মাণের খরচ হ্রাস পেয়ে EV গাড়ির দামও আরও সাশ্রয়ী হবে।

এই ঘোষণা নিয়ে রেজেশ গুপ্ত, Recyclekaro-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, মন্তব্য করেন, “ইউনিয়ন বাজেট ২০২৫ ভারতের ব্যাটারি রিসাইক্লিং ও উৎপাদন খাতকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোবাল্ট, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি স্ক্র্যাপ, সীসা ও জিঙ্কের ওপর BCD মওকুফ দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারে সহায়তা করবে, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং মূল্য সংযোজনকে ত্বরান্বিত করবে। এই পদক্ষেপ আমাদের সার্কুলার ইকোনমি ও EV সরবরাহ চেইন উন্নয়নে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে, যার ফলে স্থানীয় উৎপাদন ও চাকরির সৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে।”

এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে না, বরং পরিবেশবান্ধব ও স্থায়িত্ববিষয়ক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। EV গাড়ির দাম কমে গেলে ক্রেতাদের কাছে এগুলি গ্রহণ করা সহজ হবে, ফলে তেলের উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে, টেইলপাইপ নির্গমন কমবে এবং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিক্রয়ের ৩০ শতাংশ EV থেকে আসবে।

প্রসঙ্গত, এই নতুন বাজেট ঘোষণা বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা দেশকে পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।