জিএসটি বৃদ্ধির আঁচ পড়ল না Bajaj-এর দুই জনপ্রিয় বাইকে, স্বস্তি ক্রেতাদের

Bajaj Keeps Prices Unchanged

দেশের জনপ্রিয় টু-হুইলার নির্মাতা বাজাজ (Bajaj) অটো ঘোষণা করেছে যে জিএসটি বৃদ্ধির পরও তাদের দুটি হাই-ক্যাপাসিটি মোটরসাইকেলের দাম বাড়ানো হবে না। ফলে উৎসবের মরশুমে গ্রাহকদের জন্য আসলেই এটি এক বড় স্বস্তির খবর। দাম অপরিবর্তিত থাকছে Dominar 400 এবং Pulsar NS400Z মডেলের।

Advertisements

Bajaj-এর দুই বাইকের দাম কত থাকছে

বর্তমানে Pulsar NS400Z-এর এক্স-শোরুম দাম ১.৯২ লক্ষ টাকা, অন্যদিকে Dominar 400 বিক্রি হচ্ছে ২.৩৯ লক্ষ টাকা দামে। যদি নতুন জিএসটি হার কার্যকর হতো, তবে প্রতিটি মডেলের দাম অন্তত ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেত। তবে বাজাজ নিজেদের কাঁধে সেই বাড়তি চাপ বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতায় কোনও প্রভাব না পড়ে।

সেগমেন্টে সেরা ভ্যালু ফর মানি

Pulsar NS400Z বর্তমানে তার সেগমেন্টের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। একদিকে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি দাম বাড়িয়েছে, সেখানে বাজাজ দাম অপরিবর্তিত রেখে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ উৎসবের মরশুমে বিক্রির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সাহায্য করবে।

বাজাজের পাশাপাশি হিরো মোটোকর্পও একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং হার্লে-ডেভিডসন X440-এর দাম অপরিবর্তিত রেখেছে। অন্যদিকে রয়্যাল এনফিল্ড তাদের ৩৫০ সিসি-র উপরের সমস্ত বাইকের দাম বাড়িয়েছে, যা উৎসবকেন্দ্রিক বিক্রিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজাজের কেটিএম রেঞ্জেও একইভাবে দাম না বাড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

Advertisements

ভারতে উৎসবের সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিক্রি সবসময়ই উর্ধ্বমুখী থাকে। এই সময়ে গ্রাহকদের জন্য দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। বাজাজ বুঝেছে যে দাম বাড়ানো হলে গ্রাহকদের উৎসাহ কমে যেতে পারে, আর তাই সংস্থাটি অতিরিক্ত চাপ নিজেরাই বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কৌশল দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়াবে।

প্রসঙ্গত, জিএসটি বৃদ্ধি সত্ত্বেও Bajaj Dominar 400 এবং Pulsar NS400Z-এর দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের জন্য এক বড় উপহার। একদিকে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীরা দাম বাড়িয়ে ফেলেছে, সেখানে বাজাজের এই পদক্ষেপ তাদের বাজারে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছে। উৎসবের মৌসুমে এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বিক্রির সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং বাজাজকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে।