বাজাজ অটো ঘোষণা করেছে যে আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৪-এ লঞ্চ করা হবে নতুন প্রজন্মের চেতক ই-স্কুটার (Bajaj Chetak Next-Gen)। এবছর বাজারে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করার পর চেতক সিরিজে এই নতুন সংস্করণ আসতে চলেছে। এই নতুন মডেলটিকে বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হচ্ছে “দ্য বেস্ট চেতক ইয়েট” হিসেবে, যেখানে বর্তমান সংস্করণের তুলনায় উল্লেখযোগ্য আপগ্রেডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
চেতক সিরিজের জনপ্রিয়তা
২০২০ সালে প্রথম বাজারে আসার পর থেকেই বাজাজ চেতক তার ক্লাসিক ডিজাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করেছে। সময়ের সাথে সাথে সংস্থা এই মডেলে বিভিন্ন উন্নতি এনেছে। যেমন, এ বছরের শুরুতে নতুন ডিসপ্লে, উন্নত কানেক্টিভিটি ফিচার, এবং আপডেটেড হার্ডওয়্যার যোগ করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মের চেতকে এই আপগ্রেডগুলোর আরও উন্নত সংস্করণ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রত্যাশিত ফিচার এবং আপগ্রেড
১. চেসিস আপগ্রেড: নতুন প্রজন্মের চেতকে উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য আরও শক্তিশালী চেসিস থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২. স্টোরেজ বৃদ্ধি: বর্তমানে চেতক ই-স্কুটারে ২১ লিটার আন্ডার-সিট স্টোরেজ রয়েছে, যা সেগমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। নতুন সংস্করণে এটি বাড়ানোর জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
৩. ব্যাটারি উন্নতি: নতুন ব্যাটারি প্যাকের মাধ্যমে আগের তুলনায় আরও বেশি রেঞ্জ প্রদান করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে চেতক ই-স্কুটার ১২৩ কিমি থেকে ১৩৭ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়। নতুন মডেল এই সংখ্যাটি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪. ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীর সুবিধা: চেতক তার timeless design এবং সহজ ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। নতুন সংস্করণে এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে আরও উন্নত করা হবে।
বাজার প্রতিযোগিতা এবং মূল্য
বর্তমানে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের বাজারে ওলা, এথার, এবং টিভিএসের মতো প্রতিযোগীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও চেতক তার ক্লাসিক স্টাইল এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ফিচারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
নতুন মডেলের দাম বর্তমান সংস্করণের তুলনায় সামান্য বেশি হতে পারে। বর্তমানে চেতক ই-স্কুটারের দাম ₹৯৬,০০০ থেকে ₹১.২৯ লাখ (এক্স-শোরুম, দিল্লি) এর মধ্যে রয়েছে।
ই-স্কুটারের ভবিষ্যৎ
বাজাজ অটো নতুন প্রজন্মের চেতকের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য একটি আরও উন্নত ও ব্যবহারযোগ্য ইলেকট্রিক স্কুটার প্রদান করতে চলেছে। এই লঞ্চের মাধ্যমে বাজাজ ইলেকট্রিক টু-হুইলারের ক্রমবর্ধমান বাজারে নিজের স্থান আরও শক্তিশালী করবে।
নতুন প্রজন্মের বাজাজ চেতক শুধুমাত্র একটি স্কুটার নয়, বরং একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। এটি ভারতীয় ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে একটি বড় পরিবর্তন আনবে। গ্রাহকদের জন্য এটি দীর্ঘ রেঞ্জ এবং উন্নত পারফরম্যান্সের সঙ্গে একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ। ডিসেম্বর ২০-এর লঞ্চের জন্য অপেক্ষা এখন সবার।