Bajaj Chetak ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে কালো ধোঁয়া, সংস্থা দিল তদন্তের আশ্বাস

ছত্রপতি শম্ভাজিনগরে বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পর ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টু-হুইলার…

Smoke from Bajaj Chetak electric scooter

ছত্রপতি শম্ভাজিনগরে বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পর ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টু-হুইলার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাজাজ অটো (Bajaj Auto) জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। ভাইরাল ভিডিওটি এক ব্যবহারকারী এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, জলনা রোডের একটি ব্যস্ত ট্রাফিক সিগন্যালে একটি বাজাজ চেতক মডেলের স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

নভেম্বরে একরাশ হতাশা জুটল হুন্ডাইয়ের কপালে, গাড়ি বিক্রিতে কী এমন হল!

   

Bajaj Chetak ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে কালো ধোঁয়া

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, ধোঁয়ার খবর পাওয়ার পর ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বরবন্দি গ্রামের দুই কৃষক, ভগবান চবন এবং রবীন্দ্র চবন, জল পাইপ কেনার জন্য ছত্রপতি শম্ভাজিনগরে এসেছিলেন। ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা করার সময় তারা লক্ষ্য করেন যে তাদের বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

তৎক্ষণাৎ তারা স্কুটারটি রাস্তার পাশে সরিয়ে নেন এবং সেভেন হিলস ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ফায়ার ব্রিগেড দলকে ডাকা হয়। দলটি স্কুটারে জল স্প্রে করার পর ধোঁয়া বন্ধ হয়। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে বাজাজ অটো বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয় এবং একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। বাজাজ অটোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের একটি থার্মাল ইনসিডেন্ট সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে এখনও পর্যন্ত স্কুটার থেকে ধোঁয়া ওঠার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।

নতুন বছরের শুরুতেই বাজারে আসছে চমকপ্রদ স্ট্রিটফাইটার বাইক

বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া ওঠার ঘটনাটি ইলেকট্রিক গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। যদিও প্রচলিত পেট্রোল বা ডিজেলচালিত অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন (ICE) গাড়ি বছরের পর বছর ধরে আগুনের ঝুঁকির জন্য পরিচিত, ইলেকট্রিক গাড়িও যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় তা প্রমাণিত।

ইলেকট্রিক যানবাহনে প্রপালশন এনার্জি হিসেবে উচ্চ ভোল্টেজের ব্যাটারি সেল ব্যবহৃত হয়, যা দাহ্য রাসায়নিক বহন করে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক গাড়িতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক ইলেকট্রিক গাড়ি এবং টু-হুইলারের আগুনের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।

আগের চাইতে আরও দুর্দান্ত লুক, ডুকাটির এই বাইক এদেশে আসবে কবে?

বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং থার্মাল ঘটনার ঝুঁকি কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ঘটনার পর বাজাজ অটো এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর ওপর ইলেকট্রিক যানবাহনের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি আরও জোরালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।